১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল গঠন করেছিল: খন্দকার মোশাররফ

0

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই তাদের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। ১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশাল গঠন করেছিল। এখন আবার গণতন্ত্র হত্যা করে তা চালু করতে চায়।

তিনি বলেন, সমাজের সকল ক্ষেত্রে যে পচন লেগেছে তা থেকে মুক্ত করার জন্য, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বাবু-আউয়ালরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন। তাদের সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে পারলে আজকে তাদের প্রতি সত্যিকারঅর্থে সম্মান দেখানো হবে।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি’র সদস্য, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল’র সভাপতি ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবুএবং বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল আউয়াল খানের অকাল মৃত্যুতে গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় বিএনপি কতৃক আয়োজিত এক ভার্চূয়াল স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে বাবু একদিনে সৃষ্টি হয়নি। একদিন এসে স্বেচ্ছাসেবক দলের মতো একটা বড় দলের সভাপতি হয়নি। ছাত্রদলের রাজনীতিতে কে বহুৎ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকভাবে এই স্থানে এসেছে। শহীদ জিয়ার আদর্শ কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। একদিনে রাজনীতিবিদ হওয়া যায় না সেটা বাবুর জীবনী আলোচনা করলে বুঝা যাবে। তাই আমি বর্তমানের নতুন প্রজন্মের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলবো ধৈর্য হারাবেন না। রাজনীতি করতে হলে ধৈর্য থাকতে হবে। আমাদের এত বড় দল আজকে পথ দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকে অনেক সময় বঞ্চিত হতে পারেন। তবে দলের প্রতি কমিটেট থাকলে, বাবুদের মত ধৈর্য থাকলে একদিন অবশ্যই তার মূল্যায়ন পাবেন।

বিএনপি আমলের সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের ছাত্র সংগঠনের নেতারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে করে টাকা কামানো নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর আমাদের দল বিএনপি যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল তখন শফিউল বারী বাবু ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তখন আমি মন্ত্রী ছিলাম। কয়েকটি চাকরির আবেদন ছাড়া তিনি কোন সময় আমার কাছে অর্থনৈতিক কোন কাজ নিয়ে আসেননি। এই হলো বাবুর রাজনৈতিক চরিত্র এবং বর্তমান সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ও আমাদের ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের রাজনৈতিক চরিত্রের পার্থক্য।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, যুগ্ন মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল অংশগ্রহণ করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com