বিদেশে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া উচিত : খন্দকার মাহবুব
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চাইলে তাকে বিশেষ প্লেনে হলেও বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার সুযোগ দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বিকেলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওনাকে জিজ্ঞেস করেন। ম্যাডামের চিকিৎসার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।’
শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি-
গত ২৪ মার্চ কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রায় ২৫ মাস কারাভোগের পর তিনি মুক্তি পান। যদিও ৬ মাসের মুক্তির প্রায় তিন মাস হতে চলছে। এ নিয়ে কথা বলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেয়া হয়েছিল সুচিকিৎসার জন্য। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে তার সে উদ্দেশ্য এখনও সফল হয়নি। প্রায় তিন মাস হতে চললে তিনি উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না।’
বিএনপির এ আইনজীবী বলেন, ‘সারাবিশ্বের যোগাযোগ বন্ধ থাকলেও অনেকেই বিশেষ প্লেনে বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে ম্যাডাম যদি ইচ্ছা পোষণ করেন সরকারের কাছে বিদেশে যাওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাহলে তাকে বিশেষ প্লেনে হলেও বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’
ছয় মাসের কারামুক্তির প্রায় তিন মাস শেষ হতে চলল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার। করোনা পরিস্থিতির কারণে এ তিনমাস ঘরবন্দি বিএনপি নেত্রী। চিকিৎসারও সুযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা। বিশেষ জামিনের মেয়াদ শেষ হলে কী হবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি ও তার আইনজীবীরা।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন তার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোরও দাবি করেন।
অপরদিকে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই মেয়াদ বাড়ানো এবং মুক্তির শর্ত শিথিল করে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির আইনজীবীদের একটি সূত্র।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘মানবিক একটা বিষয় আছে। ম্যাডাম সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। মানবিক কারণে তাকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া উচিত।’
এর আগে গত ২৫ মার্চ বিকেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান (ষড়যন্ত্রমূলক) দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সেখান থেকে গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজায়’ যান তিনি। ২৫ মাস কারাভোগের পর মুক্তি পান তিনি। এর আগে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিএসএমএমইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।