বয়স্ক ব্যক্তিকে দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের পা ধুয়ে নেয়ার ছবি ভাইরাল
এক বয়স্ক ব্যক্তিকে দিয়ে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরমাদ্রাজ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জমাদারের পা ধুয়ে নেয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে ভোলার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান তার সম্মানহানির চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ এনে চরফ্যাশন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
চরফ্যাশন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামছুল আরেফিন থানায় ইউপি চেয়ারম্যানের জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে মাথায় টুপি ও মুখে দাড়িওয়ালা বয়স্ক ব্যক্তিকে দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের পা ধুয়ে নেয়ার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার দাপটে এসব করেছেন। আবার কেউ কেউ চেয়ারম্যানের পক্ষেও ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক জমাদার বলেন, আমাদের চরমাদ্রাজে নৌ পুলিশের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গত ১৪ জুন (রোববার) একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আমি যোগ দিতে বাড়ি থেকে বের হই। রিকশায় ওঠার জন্য কাঁচা রাস্তা হেঁটে আসলে পায়ে কাদায় ভরে যায়। রিকশায় ওঠার আগে আমার বাড়ির দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত কাজের মানুষ মো. ফাজিল আহমেদ ছুটে আসে। আমি না করা সত্ত্বেও সে পানি দিয়ে আমার পা ধুয়ে দেয়। ঠিক ওই সময় মো. এলিন, মো. হাসান ও মো. মিজান নামে তিনজন স্থানীয় বখাটে মোবাইলে ছবি তোলে। তারা আমার সম্মানহানির জন্য ছবিটি ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই তিন বখাটেকে আমি তাদের কার্যক্রমের জন্য বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছি। এজন্য তারা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে এসব করেছে। এ ঘটনায় আমি চরফ্যাশন থানায় একটি জিডি করেছি।
তবে পা ধুয়ে দেয়া মো. ফাজিল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
চরফ্যাশন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামছুল আরেফিন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান তার মানহানির বিষয়ে একটি জিডি করেছেন। তবে কারও নাম উল্লেখ করেননি।