তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছিলেন জিয়াউর রহমান: মির্জা ফখরুল

0

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭৫’র এ রাজনীতিক পট পরিবর্তনের পরে জিয়াউর রহমানকে যদি সিপাহী জনতা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব না দিতেন এবং তিনি যদি তার অসম সাহস, মেধা, দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব না নিতেন তাহলে সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্টে পরিণত হতো।

তিনি বলেন, সম্পূর্ন একটা বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্য দিয়ে, একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি থেকে তিনি বাংলাদেশেকে টেনে তুলেছেন। সেসময়ে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলে যে তখন বলা হতো তলাবিহীন ঝুড়ি। সেই তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে জিয়াউর রহমান তার যোগ্যতা দিয়ে সম্ভাবনার ধারে নিয়ে গিয়েছিলেন।

অবরুদ্ধ গণতন্ত্রের মুক্তি’র প্রত্যাশা সামনে এগুনোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, একেকটা এই ধরনের মহামারীর পরে পরিবর্তন আসে, যুগের পরিবর্তন হয়, সভ্যতার পরিবর্তন হয়ে যায়। আসুন আমরা আজকে আমরা সবাই মিলে এই পরিবর্তনকে সামনে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাই।

জিয়াউর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জিয়াউর রহমান সাহেবের সবচেয়ে বড় অবদান তিনি এই জাতিকে একটি স্বাতন্ত্র দিয়েছিলেন, একটি পরিচয় দিয়েছিলে। সেজন্য যখন তিনি শাহাদাত বরণ করলেন, তার জানাজায় লক্ষ লক্ষ ক্রন্দরত মানুষের সামনে ইমাম সাহেব আল্লাহর দরবারে হাত তুলে এই কথা প্রার্থনা করলেন যে, আল্লাহ বাংলাদেশকে হেফাজত করুন। তখন সেই লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢুকরে কেঁদে উঠেছিলো। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সঙ্গে বাংলাদেশ ও জিয়াউর রহমান একাকার হয়ে গিয়েছিলো। সেই কারণে জিয়া, জিয়ার দর্শন, জিয়ার ধানের শীষ বাংলাদেশের মানুষের কাছে আজো এতো প্রিয়।

স্বাধীনতার এই পতাকা হাতে তুলে দিয়ে গিয়েছিলেন তারই যোগ্য উত্তরসূরী বেগম খালেদা জিয়ার হাতে। আর সেই সঙ্গে আজ সেই পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন জনাব তারেক রহমান। লক্ষ কোটি স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে, গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে জিয়া কখনো মরে না। আজকে গণতন্ত্রবিহীন, মানবতাহীন নির্মম এই রাষ্ট্রে জিয়া অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। সংগ্রাম গণতন্ত্রের জন্য, সংগ্রাম স্বাধীনতার জন্য, সংগ্রাম মুক্তির জন্য-আজকের এই দিনে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
শনিবার বিকালে ইন্টারনেটে ভার্চুয়াল আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চুয়াল এই আলোচনা হয়। বিকাল সাড়ে তিনটায় ভার্চুয়াল আলোচনা শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৫টায়। নেতারা জানান, গুলশানে ‘ফিরোজা‘য় দলের চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়া ও লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইন্টারনেটে এই ভার্চুয়াল আলোচনাসভা শুনেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com