যুবলীগের চেয়ারম্যানের বহিষ্কারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠির সিদ্ধান্ত
ক্যাসিনো ঘটনার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি ও জাতীয় কংগ্রেস সামনে রেখে শুক্রবার যুবলীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের বৈঠক হয়েছে।
সংগঠনের এই কঠিন সময়ে প্রেসিডিয়ামের জরুরি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না চেয়ারম্যান। এ নিয়ে উপস্থিত নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ওঠায় চেয়ারম্যানকে বহিষ্কারের দাবি ওঠে বৈঠকে।
উপস্থিত অধিকাংশ সদস্য চেয়ারম্যানের বহিষ্কারে ঐকমত্য পোষণ করলেও সাধারণ সম্পাদকের আপত্তির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এতে উপস্থিত নেতারা সাধারণ সম্পাদকের ওপর ক্ষুব্ধ হন। তবে যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সর্বোচ্চ ব্যবস্থা (বহিষ্কার) নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রেসিডিয়াম বৈঠক হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ।
উপস্থিত ছিলেন শহিদ সেরনিয়াবাত, শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাফ হোসেন বাচ্চু, সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মজিবুর রহমান চৌধুরী, ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, আতাউর রহমান, বেলাল হোসাইন, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, নিখিল গুহ, শাহজাহান ভূঁইয়া মাখন, মোখলেছুজ্জামান হিরু, শেখ আতিয়ার রহমান দিপু প্রমুখ।
বৈঠক শেষে হারুনুর রশিদ বলেন, দফতর সম্পাদক আনিসকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়াও আসন্ন কংগ্রেস নিয়ে বেশকিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো লিখিত আকারে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বৈঠকে সর্বসম্মতিতে নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনের দফতর সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিসকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।