মনের সংকীর্ণতা সবচেয়ে বড় রোগ। উপভোগ করুন মহৎ হবার আশ্চর্য প্রশান্তি
মনের সংকীর্ণতা সবচেয়ে বড় রোগ। উপভোগ করুন মহৎ হবার আশ্চর্য প্রশান্তি। ————————————- (লেখাগুলো কাউকে উদ্দেশ্য করে নয় -সার্বজনীন) নিজে করতে পারলোনা তো অন্যের করা নিয়ে সংকীর্ণতা। আরে জনাব আপনি অন্যের মত সাাকসেস হতে পারেননি এটাতো আপনার ব্যার্থতা। তাহলে কেন অন্যের সফলতা মেনে নিবেন না। ভাল কাজ আপনি কয়টি করেছেন ? যদি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই সফল প্রশংসা পেয়েছেন। তাহলে চোখ খুলে কেন অন্যের ভাল কাজ দেখছেন না। প্রশংসা করছেন না কেন তাঁর ভাল কাজকে। অন্যের ভাল কাজ দেখে কেন চোখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন ? চোখটি খুলুন আর খুশি মনে বলুন এই ভালকাজটা তাঁরই করার কথা-আমার দ্বারা সম্ভব হয়নি কারন আমি নিজেই এই অক্ষমতার জন্য দায়ী। এগিয়ে যান তাঁর ভাল কাজটিতে যে সম্পাদন করেছে তাঁর অর্থ,শ্রম আর মেধা দিয়ে। দেখবেন আপনিও পেতে পারেন একটি সুফল,তাঁর মাধ্যমে যাঁকে আমি হিংসা করছেন। জনাব সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয় না -এটাই দুনিয়ার নিয়ম। তো আপনি কেন জ্বলবেন অন্যের সাফল্যে ? “বদনাম“-কেন করবেন অন্যের নামে। আগে চোখ বন্ধ করে নিজের খাতাটা খুলুন এবয় দেখেনে আপনি কতটা বদনামের কাজ করেছেন। নিজেকে কি আড়াল করতে পেরেছেন বদনাম থেকে। কেন ? লজ্জা পাচ্ছেন নিজের বদনাম আর পাপের লিস্ট চেক করতে বলায় ? তাহলে একবার ভাবুন নিজের লজ্জা আছে নিজের বদনাম নিজেই সহ্য করতে পারেন না তাহলে আপনি যখন অন্যে বদনাম করেন তখন তাঁর কেমন লাগে। চেতনাকে প্রসস্ত করুন আর বলুন আমি কি মানুষ ? চেতনা যদি বলে আপনি মানুষ তাহলে চেতনাকে জিজ্ঞেস করুন -আমি কি আকৃতিতেই মানুষ নাকি আতœা (Soul ) থেকেও মানুষ। চেতনা যদি বলে আপনি আতিœক মানুষ তাহলে আপনাকে সাথে সাথেই ছেড়ে দিতে হবে মনের সকল সংকীণতা-প্রসস্ত মনে আপনাকে হতে হবে বিবেকবান মানুষ । যদি আপনি বেশী কুলষিত হয়ে থাকেন তাহলে আস্তে আস্তে পরিহার করতে থাকুন সবগুলো অশুভ চিন্তা আর কর্ম। নিঝুম চিন্তায় মগ্ন হয়ে দেখুন আপনি পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব যা -আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। তাহলে কেন এই শ্রেষ্ঠত্ব থেকে বিরত থাকবেন। আপনি শ্রেষ্ঠ থেকে যান। আাতœার (Soul) তৃপ্তিকে জাগ্রত করুন দেখবেন শান্তি আর শান্তি। উপভোগ করুন মহৎ হবার আশ্চর্য প্রশান্তি। শুধু মনের সংকীর্ণতা থেকেই রোগের সৃষ্টি হয়না -সংকীর্ণতাই একটি বড় রোগ—- লেখক: আরিফ মাহফুজ, যুক্তরাজ্য থেকে |