করোনা মহামারীতেও লন্ডনে গ্রাহকদের ঠকিয়ে যাচ্ছেন বিকাশ এজেন্টরা
আরিফ মাহফুজ (লন্ডন প্রতিনিধি) করোনা মহামারীতেও লন্ডনে গ্রাহকদের ঠকিয়ে যাচ্ছেন বিকাশ এজেন্টরা। লন্ডনে বাঙ্গালী পাড়ায় হাটলেই যত্র-তত্র অনেক দোকানেই দেখতে পাওয়া যায় ছোট কাগজের বিজ্ঞাপন লাগানো -এখানে মানি ট্রান্সফার, বিকাশ ও ফ্লাগজি লোড করা হয়। বর্তমানে লকডাউনের কারনে ফেইবুকে “‘বিকাশে টাকা ছাড়া হয়‘‘অনেক বিকাশ এজেন্ট এরকম বিজ্ঞাপন ছাড়ছেন। নিজস্ব ব্যবসার পাশাপাশি এটাকে সাইড ব্যবসা হিসাবে ধরা হয়। আবার অনেক গুলো বড় বড় মানিট্রান্সফার ব্যবসায়ীরা আবার বিকাশ ও ফ্লাগজি লোড ব্যবসা করেন না। কারন বিকাশের কোন বৈধতা নেই যুক্তরাজ্য সরকারের মানি লন্ডারিং এর নীতিমালায় মুলতঃ বাংলাদেশী ছোট ছোট মুদির দোকান, মোবাইল শপ, কর্ণার শপ, চায়ের দোকান, পান দোকান গুলো এই বিকাশ ও ফ্লাক্সি লোডের ব্যবসা করেন। উনারা এখানে কোন সফটওয়ারের মাধ্যমে টাকা পাঠান না। গ্রাহকের মোবাইল নম্বর নিয়ে হোয়াটস আ্যাপ এর মাধ্যমে সাথে সাথে বাংলাদেশে তাদের পরিচিত বিকাশ এজেন্টের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। স্বল্প পরিমান টাকা পাঠানোর জন্য এই মাধ্যমটি অত্যন্ত চমৎকার এই পদ্ধতিতে গ্রাহকরা টাকা পানও খুবই তাড়াতাড়ি। তবে এই রেমিটেন্স পদ্ধতি ব্যবহার করে লন্ডন থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর এই পদ্ধতি পুরোপুরি অবৈধ। সরকারী অনুমোদন ছাড়া এভাবে রেমিটেন্স পাঠানো আইনের বহির্ভূত। এটাকে হুন্ডির সমতুল্য বলে অনেকে মনে করেন। ইউকে সরকারকে কর ফাঁকি দিয়ে বহু দিন থেকে চলে আসছে এই ব্যবসা। গ্রাহকের কাছ থেকে চার্জ সময় টাকা নেওয়ার পর কোন প্রকার রিসিট দেয়া হয় ন। কিন্তুু সবচেয়ে বিব্রতক বিষয় হলো, লন্ডন থেকে বিকাশে টাকা পাঠালে কোন প্রকার রেইট নির্ধারন নেই। একেক দোকানে একেট রেইট। যখন ১ পাউন্ড সমান বাংলাদেশ টাকা ১১৫ টাকা তখনও বিকাশে ১ পাউন্ডে গ্রাহককে দেয়া হয় বাংলাদেশে ১০০ টাকা – ১ পাউন্ড সমান বাংলাদেশ টাকা ১১০ টাকা তখনও দেয়া হয় ১০০ টাকা। কিন্তুু ১১০ টাকার নীচে টাকার রেইট নামে তখন ১ পাউন্ডে আর ১০০ টাকা দেয়া হয় না তখন ১ পাউন্ডের সাথে আরও ৫-১০% হারে বেশী দিতে হয়। একজন গ্রাহকের কাছ থেকে জানা যায় -করোনা সংকট কালে অনেকেই লকডাউনের মধ্যে দেশে আত্মীয় স্বজনকে বা গরীবদের কে ছোট ছোট এমাউন্টের টাকা পাঠাচ্ছেন। লন্ডনে লকডাউনের কারনে মানিট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান গ্রলো বন্ধ তাই অনেকেই টাকা পাঠাতে না পেরে ছোট ছোট বিকাশ দোকানে গিয়ে লাইন ধরছেন কিন্তুু অসাধু বিকাশ ব্যবসায়ীরা এই সুযোগটি গ্রহন করছেন। বর্তমানে ১০০ টাকার জন্য নিচ্ছেন ১পাউন্ড ১০ পেন্স অর্থাৎ ১০০০০ টাকার জন্য নিচ্ছেন ১১০ পাউন্ড। বর্তমানে টাকার রেইট ১০৫- ১০৬ টাকা তার মানে ১০০০০ হাজার টাকা পাঠাতে লাগার কথা ৯৮-১০০ পাউন্ড অর্থাৎ বিকাশ ব্যাবসায়ীরা ১০০০০ হাজার টাকার জন্য নিচ্ছেন চার্য বাদে অতিরিক্ত প্রায় ১০-১২ পাইন্ড। গ্রাহকরা বাংলাদেশে ১০০০০ টাকা পাঠাতে বেশী নিচ্চেন প্রায় ১২৫০ টাকার মত (মানি ট্রান্সফারের নরমাল রেইট+চার্জ) বাদে। এভাবেই প্রতিদিন বড় পরিমান একটি রেমিটেন্স ট্রান্সফার হচ্ছে ইউকে থেকে, মাঝ পথে ঠকানো হচ্ছে গ্রাহকদের।