দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদক সমীপেষু, জনাব তারেক রহমানকে নিয়ে আপনাদের এত টেনশন কেন ?
(প্রিয় পাঠক, আমার এই লেখাটি জনাব তারেক রহমানকে নিয়ে ইত্তেফাক প্রত্রিকার একটি মিথ্যা ও উদ্দেশ্য মূলক প্রদিবেদনের প্রতিবাদ ) লেখার শুরুতেই তীব্র প্রতিবাদ জানাই ৪ঠা মে ২০২০ সময় ১০ টা ৪০ সেঃ এ দৈনিক ইত্তেফাক (অনলাইন) প্রত্রিকায় প্রকাশিত জনাব তারেক রহমান শিরোনামের নিউজটির প্রতি। তার সাথে ধন্যবাদ জানাই যুক্তরাজ্য বিএনপির ও সব জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতিবাদী ঝান্ডা হাতে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়াতে যারা এই মিথ্যা বানোয়ট সংবাদটির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই সংবাদটি দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের সীমালঙ্ঘন কত উচ্চপর্যায়ে পৌছিয়েছে ষড়যন্ত্রকারীরা। কভডি-১৯-এর চকিৎিসায় নবিদেতি ডাক্তার, র্নাস ও অন্য র্কমর্কতাসহ ন্যাশনাল হলেথ র্সাভসি বা এনএইচএস র্কমীদরে প্রতি সম্মান ও সহর্মমতিা জানয়িে তাদরেকে উপহার হসিাবে খাদ্যসামগ্রী হস্তান্তর করছ।ে কথাটি একেবারে ষোল আনা সত্যি কিন্তুু কোথাও উল্লেখ বা বলা হয়নি যে জনাব তারেক রহমান নিজের পকেট থেকে অথ বরাদ্দর্ দিয়েছেন। জনাব সাংবাদকি সাহেব (ইত্তেফাক) এক্ষেত্রে আপনি আপনার প্রতিবেদনে প্রশ্ন তুলেছেন তারেক রহমানের অর্থের উৎস কোথায় ? দলীয় কর্মীদের উপহার সামগ্রী দিতে নির্দেশ আর নিজের পকেট থেকে অর্থ প্রদান করা দুইটা দুই জিনিস। এটা কি আপনার জ্ঞানভান্ডারে ধরল না ? এখানে আপনি নির্বোধের পরিচয় দিয়েছেন। বিএনপির নেতা কর্মীরা জনাব তারেক রহমানের এর এবং দলীয় হাই কমান্ডের প্রতি অনুগত। নেতার নির্দেশ মান্য করেন নতশীরে। তাইতো আজ মহামরী মোকাবেলায় নেতার নির্দেশে সারাদেরশ ঝাপিয়ে পড়েছেন বিএনপির নেতা-কমীরা। আপনারা সরকারের টাকা খেয়ে স্টীলের চশমা চোখে দিয়ে বসে আছেন তাইতো চোখে দেখতে পারছেন না বিএনপির নেতাকমীদের সহযোগীতা আর অবদান। প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেনে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বিএনপির কোন সহয়াতা কার্যক্রম নাই। দয়া করে চোখের চশমা খোলে ভাল করে দেখুন দেশের সর্বত্র ঝাপিয়ে পড়েছে বিএনপি। ছাত্রদল কৃষকের ধান কেটে মাথায় বোঝা নিয়ে তাঁদের ঘরে পৌছে দিচ্ছে। হাজার হাজার নেতাকর্মী খাদ্য সহয়তা দিচ্ছে গৃহবন্দী মানুষের ঘরে ঘরে। বুঝবেন কি করে ? বিএনপি ত ক্যামেরাম্যান সাথে নিয়ে ঘোরে না ফটোসেশন করার জন্য। বিএনপিও ব্যস্ত সময়পার করছে আর সরকার দলের লোকজনও ব্যস্ত সময় পার করছে। তবে দুটোর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে বিএনপি নিজের পকেটের অর্থ ও শ্রমদিয়ে মানুষের সেবা করছে আর সরকারদলের লোকেরা গরীবের ত্রাণ বরাদ্দ চুরি আর ফটো সেশনে ব্যস্থ আর হাইকমান্ড ব্যস্ত চোরদের সহায়তায়। আর বিএনৃিপর হাই কমান্ডরা ব্যাস্ত কিভাবে মহামরী থেকে দেশের আপামর জনতাকে বাঁচানো যায়। হলুদ সাংবাদিকতার যে মুখোশ পড়ে আপনারা তারেক রহমানের আয়ের উৎস খোঁজেন তা নিতান্তই হাস্যকর। সরকারের পদলেহ্যন যেহেতু করছেন সেহেতু কিছুত লিখতে হবে জনাব তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। নইলেত মালপানি হালাল হবে না। জনাব তারেক রহামানের এতটা অর্থের প্রয়োজন নেই যে ক্যাসিনো খেলে অর্থ উপার্জন করতে হবে। তিনি আপনাদের ও আপনাদের সরকারের মত বিলাস বহুল জীবনযাপনে এতটা ব্যাস্ত নন যে কারি কারি টাকা প্রয়োজন আছে। জনাব তারেক রহমান এসাইলামে লন্ডনে অবস্থান করছেন তাই যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সহায়তা দেয়া হয় যা জেনেভা কনভেনশনের নীতি অনুযায়ী। আর আপনাদের একটা জিনিস মনে রাখা দররকার জনাব তারেক রহমানের তনয়া জাইমা রহমান একজন ব্যরিষ্টার তাই তাঁর উপার্জনও নেহাত কম নয়। মিথ্যা মামলায় একজন মানুষকে ফাঁসিয়ে তাকে সরকারের ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় দিয়ে সাজাপ্রাপ্ত করে রাখা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বেগম জিয়াকে এতদিন জেল খাটানো হয়েছে এগুলোর ইতিহাস মুছে যাবার নয়। সময় একদিন বিএনপির অনুক‚লে আসবে। সম্পাদক সাহেব (ইত্তেফাক) দেখুন একজন মানুষের দেশের জন্য কত ভালবাসা। নিজে দেশে না যেতে পারলেও এই মহা দুর্যোগে দেশকে ভুলে যাননি তাই দেশে বিদেশে অবস্তানরত সব জাতীয়তাবাদী সৈনিকদের নির্দেশ দিয়েছেন দেশের জনগনের পাশে দাঁড়ানোর। আপনারা বুঝেও না বোঝার ভান করলেও দেশের সাধারন জনতা ঠিকই ক্রিষ্টাল ক্লিয়ার বুঝতে পারতেছে তাঁদের প্রতি নেতার ভালবাসা। যুক্তরাজ্য সহ সারা বিশ্বের সব জায়াগা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা নিাজের সাধ্যমত উপহার সহয়াতা করে যাচ্ছেন প্রতিদিন। প্রমান চাইলে প্রমান নিয়ে যান । এক যুক্তরাজ্য থেকেই শত শত নেতাকর্মী ত্রাণ পাঠিয়েছেন এবং তা বন্টনও হয়েছে সুষ্ঠভাবে। দেশে ছোট ছোট সংগঠনগুলো ত্রাণ ও চিকিংসা সহায়তা দিচ্ছে এবং ব্যাক্তিগত ভাবেও অনেকে এগিয়ে এসেছেন এজন্য তাঁদেরকে সাধূবাদ ও স্বাগতম জানাই। তাঁরা আর বিএনপি যদি এই দুর্যোগে এগিয়ে না আসত তাহলে এতদিনে করোনার চেয়ে অনেক বেশী মানুষ মারা যেত না খেয়ে। সরকারের ত্রানতো সরকারের লোকেরাই চুরি করে খাচ্ছে জনগন আর পায় কই। চুরির দলিল তো মিডিয়া প্রকাশ পাচ্ছে। তাতো অস্বীকার করা যাবে না। চীন যে মাস্ক দিয়েছে তা নিয়ে আপনাদের চিন্তা করার দরকার নাই এখানে মাস্ক চুরি হয়েছে বলে বিএনপির নেতাকর্মীদের গাঁয়ে আর চুরির তকমা লাগনোর চেষ্টা করবেন না। মাস্ক সঠিক ভাবে বন্ট হয়েছে। তারেক রহমান কোন অর্থ পাচার করেননি আদালত কোন প্রমাণ করতে পারোনি। আপনাদের সরকার ও দলীয় আমলারা হরিলুট করে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিনিয়ত পাচার করে দেশকে তলাবিহীন ঝুরিতে রুপান্তরীত করছে । সেদিকে খেয়াল করুন। সাহস থাকলে প্রতিদিন একটি করে প্রদিবেদন লিখুন। জনাব তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় সরকার ঈর্ষান্বিত, সারাক্ষন ভয়ে দিন কাটে। টেনশন আর টেনশন। প্লিজ এত টেনশন করবেন না। যেখানে জনাব তারেক রহমানের নামে নতুন কোন ইস্যু বের করতে পারছেন না সেখানে এই মহামারীতে এই মিথ্যা ইস্যু বানিয়ে সরকারকে খুশি করে সাধারন জনগনকে বিভ্রান্ত করবেন না। হলুুদ সাংবাদিকতা পরিহার করুন যা সত্যি তাই প্রচার করুন। ভুলে যাবেন না সাংবাদিকের কলম সত্য প্রকাশ করার জন্য। সাংবাদিকের কলমের কালির রং একই। একে হলুদ বানাবেন না। দেশের জনগনের পাশে আরও বেশী করে বিএনপির নেতাকর্মীদের দাঁড়াবার জন্য সহযোগীতা করুন অুনপ্রেরণা দিন, আহŸান করুন এবং চলমান কাজের জন্য প্রশংসা করুন। এখন রাজনৈতিক ফায়দা লুটার সময় না। জাতিকে রক্ষা করতে হবে। এটা সবার প্রয়োজন। স্বচ্চটা লিখূন। দেখবেন সৃষ্টি কর্তার নিকটও প্রশংসা পাবেন। পরিশেষে বলতে চাই-আমি জানি আমার এই ক্ষুদ্র লেখাটি ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদক সাহেবের দৃষ্টিতে পড়ার মত না যার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। তুবও বলব জনাব তারেক রহমানকে নিয়ে টেনশেন করবেন না উনি আপামর জনতার অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন চিরতরে যা শিরিশ কাগজ দিয়ে ঘষিয়েও তুলতে পারবেন না। জনগন বিএনপির পাশে আছে থাকবে, বিএনপিও জনগনের সাথে আছে সর্বক্ষণ। লেখকঃ আরিফ মাহফুজ.যুক্তরাজ্য থেকে