ভারতকে ধর্মীয় স্বাধীনতার ‘ব্ল্যাকলিস্টে’ রাখার পরামর্শ মার্কিন প্যানেলের
নরেন্দ্র মোদির আমলে ধর্মীয় স্বাধীনতা ‘প্রচণ্ডভাবে ক্ষুণ্ণ হওয়ায়’ ভারতকে এ সংক্রান্ত কালো তালিকায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন সরকারের একটি প্যানেল।
ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরপি) তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে মঙ্গলবার জানিয়েছে, ধর্মীয় স্বাধীনতা ভারতে না বাড়লে দেশটিকে ‘উদ্বেগজনক দেশের তালিকায়’ রাখা উচিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০১৯ সালে ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রচণ্ডভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বেড়েছে।’
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিপক্ষীয় এই প্যানেল প্রতি বছর এ বিষয়ে পরামর্শ দিলেও নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না। তাই তাদের পরামর্শ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট শুনবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
গত কয়েক বছরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে শুরু করে কূটনৈতিক সম্পর্ক পর্যন্ত উন্নত করেছেন মোদি।
ভারতে নাগরিকত্ব আইন যেভাবে সংশোধন করা হয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে দেশটি সফরের সময় তা নিয়েও কথা বলেননি ট্রাম্প। বরং তিনি বলে যান, মোদি সরকার ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস রাখছে!
ট্রাম্প যখন এমন মন্তব্য করেন, তখন দিল্লিতে রীতিমতো দাঙ্গা হয়েছে। হিন্দু-মুসলিম মিলিয়ে ৫৩ জন মানুষ মারা গেছেন। যাদের অধিকাংশই মুসলিম।