কোভিড-১৯ মহামারীতে মৃত্যুপুরী বিশ্ব, মৃত্যু ২ লাখ ১৮ হাজার ছাড়াল
কোভিড-১৯ মহামারীর দাপটে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বিশ্ব। প্রতিদিন শয়ে শয়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। আক্রান্ত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। সবশেষ তথ্যানুযায়ী করোনায় মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন ২ লাখ ১৮ হাজারের বেশি মানুষ।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে প্রাণহানি ও অসুস্থদের পরিসংখ্যান রাখা আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোভিড ১৯-এ মারা গেছেন দুই লাখ ১৮ হাজার ১০ জন।
করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে বিশ্বের ৩১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৮৫ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১৯ লাখ ৬৪ হাজার ১২১ চিকিৎসাধীন এবং ৫৬ হাজার ৯৬৫ জন (৩ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ।
তবে ইতিবাচক খবর হচ্ছে– এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন অনেক মানুষ। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের মধ্যে ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮২৪ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
কোভিড-১৯ রোগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সেরে উঠেছেন এক লাখ ৪২ হাজার ২৩৮ জন, স্পেনে সেরে উঠেছেন এক লাখ ২৩ হাজার ৯০৩ জন, চীনের মূল ভূখণ্ডে ৭৭ হাজার ৫৭৮, ইরানে ৭২ হাজার ৪৩৯, ইতালিতে ৬৮ হাজার ৯৪১ এবং ফ্রান্সে ৪৬ হাজার ৮৮৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এ ছাড়া তুরস্কে ৩৮ হাজার ৮০৯ জন, সুইজারল্যান্ডে ২২ হাজার ৬০০, কানাডায় ১৯ হাজার ১৯০, অস্ট্রিয়ায় ১২ হাজার ৫৮০, বেলজিয়ামে ১০ হাজার ৯৪৩, দক্ষিণ কোরিয়ায় আট হাজার ৯২২, অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ হাজার ৬২৬ এবং মালয়েশিয়ায় চার হাজার ৩২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১০ দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বাংলাদেশেও থাবা বসিয়েছে কোভিড ১৯। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ছয় হাজার ৪৬২ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।