র্যাপিড কিট ফেরত দেয়ায় ভারতের কঠোর সমালোচনায় চীন
করোনা পরীক্ষায় চীনের র্যাপিড টেস্টিং কিট ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্তে ভারতের কঠোর সমালোচনা করেছে বেইজিং। চীন বলছে, এটি অনুচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। খবর আল জাজিরা
সোমবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানায়, ক্রটিযুক্ত থাকায় দুই চীনা ফার্মের এন্টিবডি পরীক্ষার র্যাপিড টেস্টিং কিট ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
কিট নিয়ে চীনা দূতাবাস বলেছে, ভারতীয় সিদ্ধান্তে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের দুই ফার্ম গুয়ানঝাউ ওন্ডফো বায়োটেক ও ঝুহাই লিভজন ডায়াগনস্টিকসের উৎপাদিত সরঞ্জামাদিকে গুরুত্ব দেয়।
মঙ্গলবার দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং এক বিবৃতিতে বলেন, কোনো কোনো ব্যাক্তির জন্য চীনা সামগ্রীকে সামগ্রিকভাবে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে আখ্যায়িত করা অনুচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়।
তিনি বলেন, চীনা কোম্পানিগুলো ইউরোপ, এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার বহু দেশে কিট সরবরাহ করেছিল। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।
চীনা দূতাবাসের এ মুখপাত্র বলেন, করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারতকে সহযোগিতা করতে চেয়েছিল চীন। মেডিকেল সরঞ্জামাদি উৎপাদন ও রফতানির সময় গুণগতমানকে প্রাধান্য দেয়া হয়।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানায়, দুই চীনা সংস্থার সরবরাহ করা টেস্ট কিটকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে ঘোষণা করেছে আইসিএমআর। সরকারি এ সংস্থাটির পক্ষ থেকে রাজ্যগুলোকে এই কিট ব্যবহারেও নিষেধ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সব কিট ফেরত পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে।
এমাসের শেষের দিকে ৫ লাখেরও বেশি র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট ভারতে রফতানি করে ওই দুই চীনা সংস্থা। পরে সরকার তা রাজ্যগুলোর মধ্যে সরবরাহ করে। আইসিএমআর ঘোষণা করেছিল, করোনা হটস্পটের মধ্যে বসবাস করা সব ব্যক্তির ওপরেই এই পরীক্ষা চালানো হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা এসব টেস্ট কিট সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েছে রাজস্থান ও পশ্চিমবঙ্গের মতো কিছু রাজ্য। তাদের দাবি, এই কিটের সঠিক ফল দেওয়ার পরিমাণ ৫.৪ শতাংশ। এদিকে দেশটির বিরোধী দলগুলো এমন কিট কেনায় কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে।