ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে দেয়া হবে না: রাশিয়া
ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়া আমেরিকা তেহরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে আবার পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে পারে বলে একজন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা যে দাবি করেছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছে রাশিয়া।
২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা অনুযায়ী ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর তেহরানের ওপর থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাহার হয়ে যাবে বলে কথা রয়েছে। কিন্তু মার্কিন সরকার নির্লজ্জভাবে ঘোষণা করেছে, তারা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়ে যাওয়া ঠেকানোর জন্য আবার পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার কথা বিবেচনা করছে।
মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস সোমবার খবর দিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পরমাণু সমঝোতারই ‘মশে ম্যাকানিজম’ নামের একটি ধারা ব্যবহার করে ইরানের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি ঠেকিয়ে দিতে চান। এ সম্পর্কে সাবেক মার্কিন পদস্থ কর্মকর্তা রিচার্ড গোল্ডবার্গ সোমবার এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, “মশে ম্যাকানিজম ব্যবহার করার জন্য আমেরিকাকে আবার পরমাণু সমঝোতায় ফিরে যেতে হবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘের আইন লঙ্ঘন করে ২০১৮ সালের মে মাসে আমেরিকাকে একতরফাভাবে পরমাণু সমঝোতা থেকে বের করে নিয়েছিলেন।
গোল্ডবার্গের এ বক্তব্যের জবাবে ভিয়েনায় জাতিসংঘের দপ্তরগুলোতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত মিখাইল উলিয়ানোভ বলেছেন, যে দেশটি দুই বছর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গেছে তার পক্ষে তাতে ফিরে এসে সেই সমঝোতারই একটি ধারা ব্যবহার করা সম্ভব নয়।
মশে ম্যাকানিজম অনুযায়ী পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী ইরান ছাড়া অন্য যেকোনো দেশ যদি মনে করে তেহরান এটি মেনে চলছে না তাহলে ওই দেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব উত্থাপন করলেই ইরানের ওপর জাতিসংঘের সবগুলো নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনর্বহাল হবে। পরমাণু সমঝোতার মাধ্যমে ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রয়েছে।
উলিয়ানোভ বলেন, আমেরিকা মশে ম্যাকানিজম চালু করার জন্য পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার যে কথা বলছে তা অত্যন্ত লজ্জাজনক ও স্বার্থান্বেষী আচরণ।