ইরানি জনগণ যেকোনো মূল্যে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করে: পম্পেওকে জারিফ
আমেরিকা পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার যে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে তাকে ইরান বিরোধী ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির চরম ব্যর্থতা বলে অভিহিত করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ।
তিনি এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন: “মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও তার প্রেসিডেন্ট ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগ করে ইরানকে নতজানু করার জন্য দুই বছর আগে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।”
সেই চাপ প্রয়োগের নীতির লজ্জাজনক ব্যর্থতার পর এখন আমেরিকা আবার পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে চায় বলে উল্লেখ করে জারিফ বলেন, “দিবাস্বপ্ন দেখা বাদ দিন। ইরানি জনগণ সব সময় যেকোনো মূল্যে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করে এসেছে।”
২০১৫ সালে ছয় বিশ্ব শক্তির সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা অনুযায়ী ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর তেহরানের ওপর থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রত্যাহার হয়ে যাবে বলে কথা রয়েছে। কিন্তু মার্কিন সরকার নির্লজ্জভাবে ঘোষণা করেছে, তারা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়ে যাওয়া ঠেকানোর জন্য আবার পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসার কথা বিবেচনা করছে।
মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস সোমবার খবর দিয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পরমাণু সমঝোতারই ‘মশে ম্যাকানিজম’ নামের একটি ধারা ব্যবহার করে ইরানের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি ঠেকিয়ে দিতে চান।