করোনা উপসর্গ নিয়ে একদিনেই ৮ মৃত্যু, সরকার বলছে আক্রান্তই হয়নি
সারাদেশে যখন মহামারিতে মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে সরকারের পক্ষ থেকে তখন ঘোষণা করা হচ্ছে নতুন করে কোন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়নি। এছাড়া কোনো মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়নি। রবিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এনিয়ে টানা দুইদিনে করোনায় কোনো আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়নিও বলে জানান তিনি। কিন্তু দেখা গেছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী সারাদিনে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, গত রবিবার সারাদিনে করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় ১, বরিশালে ২,পটুয়াখালীতে ১, নওগাঁয় ১, মানিকগঞ্জে ১, রাজশাহীতে ১ ও লালমনিরহাটে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের প্রত্যেকের মধ্যে করোনার উপসর্গ পাওয়া গেলেও এখন পরীক্ষা করতে পারেনি সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর। এমনকি করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই বলে জানান তারা।
ঢাকা:
করোনার উপসর্গ নিয়ে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মাদপুরে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তে মৃত সন্দেহে তাকে দাফন করা হয়।
ওই নারীর স্বামী জানান, তাঁর স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা এখনো জানা যায়নি। তাঁর স্ত্রী কয়েক দিন ধরেই সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। অল্প অল্প অসুস্থ ছিলেন। তবে তাঁরা হাসপাতালে যাননি।
তিনি জানান, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানানো হলে রোববার সকালে তাঁদের মোহাম্মদপুরের বাসায় এসে নমুনা নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেই পরীক্ষার ফল আসেনি। তিনি বলেন, ‘এখন আর পরীক্ষার ফল দিয়ে কী হবে। আমি এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে তাঁকে খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে দাফনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। কিন্তু এই কবরস্থানে প্রথমে দাফন করতে দিচ্ছিলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তিদের লাশ দাফন নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়। এরপর গত বুধবার (২৫ মার্চ) খিলগাঁও তালতলা কবরস্থানে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তিকে দাফন করা হয়েছিল।
বরিশাল:
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। রোববার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ৪৫ বছর বয়সী রোগীর মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে এই হাসপাতালে ভর্তির পর ৪৫ বছর বয়সী এক নারীকে করোনা ইউনিটে নেওয়ার পর পরই তিনি মারা যান। সাড়ে ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনা ইউনিটে দুই রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকেরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বাকির হোসেন জানান, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর গতকাল বিকেলে ওই রোগীকে এই হাসাপাতালে নিয়ে আসেন তাঁর স্বজনেরা। ওই রোগীকে প্রথমে মেডিসিন ইউনিটে এবং পরে করোনা ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
হাসপতালের পরিচালক বলেন, ‘আমাদের এখানে করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কোনো কিট নেই। তবুও রোগীর লক্ষণ দেখে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, এই রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে (আইইডিসিআর) জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করা হবে। মারা যাওয়া ব্যক্তির শ্বশুর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁর জামাতা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা ইউনিটে এখন পাঁচজন রোগী ভর্তি আছেন। তাঁরা কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে নিশ্চিত বলা যাবে না।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালী শহরে সর্দি–কাশি ও শ্বাসকষ্টে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। শনিবার বিকেলে জেলা শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকায় তিনি মারা যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সিভিল সার্জন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ৬৫। তাঁর বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামে। তিনি ভ্যানচালক ছিলেন।
মৃত ব্যক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসার জন্য তিন সপ্তাহ আগে তিনি জেলা শহরের টাউন কালিকাপুর এলাকায় মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসেন। গতকাল শনিবার বিকেলে তাঁর মৃত্যুর পর তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয়। এ খবর পেয়ে রাতে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাঁর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়েছে।
নওগাঁ
নওগাঁর রানীনগরের এক যুবক জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হয়ে শনিবার দিবাগত রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক) মারা গেছেন। পরিবারের অভিযোগ করোনা ভাইরাস সন্দেহে সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন তিনি। পরে রাতেই তার মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। রোববার সকাল থেকে তার দাফন করা হয়।
নিহতের পরিবার জানায়, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন। শনিবার সকালে প্রচণ্ড জ্বর আর কাশি নিয়ে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা থেকে নওগাঁয় আসেন। এ সময় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও গ্রামের কিছু লোক তাকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেননি।
পরিবারে অভিযোগ, পরে তাকে চিকিৎসার জন্য আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসা না করে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এরপর নিয়ে এসে ভেটি কমিউনিটি ক্লিনিকের বারান্দায় রাখা হয়। পরে বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করা হলে রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে চিকিৎসকরা তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠান। অবশেষে তিন হাসপাতাল ঘুরে রামেকে গিয়ে মারা যান তিনি।
মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে সুচিত্রা সরকার (২৬) নামে এক গৃহবধূ মারা যায়। রোববার (২৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক এস এম মনিরুজ্জামান জানান, মৃত অবস্থায় গৃহবধূ সুচিত্রা সরকারকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তিনি সাতদিন ধরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট এবং দুদিন ধরে পাতলা পায়খানায় আক্রান্ত ছিলেন। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের উপপরিচালক।
তিনি বলেন, সাতদিন আগে ওই গৃহবধূর শ্বশুর মারা যান। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অনেক লোক সমাগম হয়েছিল। সেখানে আসা কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি আক্রান্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাছাড়া ২৬ বছর বয়সী ওই নারীর ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগসহ অন্য কোনো রোগ ছিল না। হঠাৎ করে তার এই মৃত্যু সন্দেহজনক হওয়ায় বিষয়টি পুলিশ, সিভিল সার্জন এবং সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর মারা গেছেন আল আমিন নামের এক যুবক। তার বাড়ি নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার অলংকার দিঘি গ্রামে।
জানা যায়, শনিবার সকালে তীব্র জ্বর, সর্দি, কাশি, ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে গ্রামে ফেরেন। তবে গ্রামের লোকেরা তাকে বাড়িতে রাখতে দেয়নি। নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতাল, আদমদিঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র, রানীনগর উপজেলা হাসপাতালসহ পাঁচটা হাসপাতাল ঘুরেও কোনো চিকিৎসা না পেয়ে শনিবার বিকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে রাত সাড়ে আটটার দিকে আল আমিন মারা যান। মৃত যুবক আল আমিনের বাবা মোখলেসুর রহমান যুগান্তরকে জানান, তার ছেলে নারায়ণগঞ্জে একটি কাপড়ের দোকানে বিক্রয়কর্মীর কাজ করতেন। শনিবার সকালে সে প্রচণ্ড জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাড়িতে ফেরে। এ সময় গ্রামের লোকেরা তাকে গ্রামে রাখতে বাধা প্রদান করেন। ফলে দ্রুত তাকে নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা আল আমিনকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেন ও ফেরত পাঠান।
উপায়ন্তর না দেখে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে মোখলেসুর রহমান ছুটেন পার্শ্ববর্তী বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলা হাসপাতালে। সেখানেও তাকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করা হয়। পরে রানীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল মামুনকে জানালে তার হস্তক্ষেপে আল আমিনকে প্রথমে রানীনগর উপজেলা হাসপাতালে ও পরে আবার নওগাঁ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা আল আমিনকে ২৩ নং মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আল আমিন মারা যান। রামেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস যুগান্তরকে জানান, আল আমিনের লাশ রাতেই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে আল আমিন করোনায় নয়, মস্তিস্কের সংক্রমণ বা মেনিনজাইটিস নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তির সময় তার শরীরে জ্বরের মাত্রা তীব্র ছিল। মাথা ব্যাথা ও গলা ব্যাথা ছিল।
লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ঢাকা ফেরত আজিজুল ইসলাম ওরফে মাস্টার (৪৫) নামে এক রিকশা চালক শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন। এ ঘটনার পর করোনা আতঙ্কে বাড়ি ছেড়েছেন তার প্রতিবেশীরা।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলা সদরে বুড়িরহাটের নৈশ্যপ্রহরী আজিজুল ইসলাম ওরফে মাস্টার দীর্ঘদিন অ্যাজমা রোগে ভুগছিলেন। পরবর্তীতে তিনি নৈশ্যপ্রহরী চাকরি ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান। সেখানে দীর্ঘদিন রিকশা চালিয়ে গত ৭-৮ দিন আগে জ্বর, সর্দ্দি ও কাশি নিয়ে বাড়ি ফেরেন। বাড়ি ফিরে জ্বর, সর্দ্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের জন্য আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বর্হিবিভাগে চিকিৎসাপত্র গ্রহণ করেন। চিকিৎসকরা তাকে বাড়িতে অবস্থান করে সতর্কতার সঙ্গে চলতে পরামর্শ দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশও তাকে বাড়ির বাইরে না যেতে নিষেধ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক প্রতিবেশী জানান, আজিজুল মাস্টার অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা থেকে ফিরে জ্বর, সর্দ্দি ও শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা করেছেন। পুলিশ তাকে বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সন্দেহে তার জানাজায় যাইনি। তাদের বাড়ির লোকজনকে বাইরে না আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে নিকট আত্মীয় স্বজনরাই দাফন করেন।
এছাড়া গত ১৭ই মার্চের পর থেকে সারাদেশে করোনা উপসর্গ নিয়ে বিশ জনের অধিক মৃত্যু হয়েছে। যদিও সরকারি ভাবে ৫ জনের মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৪৫ জন। কিন্তু সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর করোনা পরীক্ষা করছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণে অন্যান্য দেশের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হতে যাচ্ছে বাংলাদেশও। আর দুইটি কারণে মূলত বাংলাদেশের সামনে বড় ধরণের বিপদ অপেক্ষা করছে। একটি হলো করোনা মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি গ্র্রহণ না করা, আর দ্বিতীয় হলো-করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ না করা। তারা বলছেন সরকারি ব্যর্থতা ভুলে জনগণকে সত্যটা জানানো দরকার না হলে করোনা আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।