করোনায় কপাল পুড়ছে লিভারপুলের!
ত্রিশ বছর আগে (১৯৯০ সালে) সর্বশেষ ইংল্যান্ডের শীর্ষ লীগ শিরোপা জিতেছিল লিভারপুল। তখন ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ আসরের নাম ছিল প্রথম বিভাগ লীগ। চলতি মৌসুমে যখন তিন দশকের শিরোপা খরা কাটানোর খুব কাছে চলে এসেছে অল রেডরা, ঠিক তখনই করোনার থাবায় স্থগিত হয়ে গেল ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ। অন্তত ৪ঠা এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত থাকবে এ আসর। বিশ্ব জুড়ে এবং যুক্তরাজ্যে যেভাবে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে চলমান মৌসুম আর মাঠে গড়াবে কি না তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। যদি চলতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ অসমাপ্ত থাকে তাহলে শিরোপা পাবে না শীর্ষে থাকা লিভারপুল। এমনটাই জানিয়েছেন উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন। তিনি বলেন, ‘মৌসুমের বাকিটা শেষ না হলে লিভারপুলকে শিরোপা দেয়া হবে এটা আমিও শুনেছি।
কিন্তু এটা সঠিক নয়। মৌসুম অসমাপ্ত রেখে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ না করতে উয়েফা তার সদস্যদের পরামর্শ দিয়েছে। তাছাড়া এটাই উয়েফার নিয়ম। উয়েফা কখনই এমন সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে না। নিয়ম অনুযায়ী শেষ হবে ২০১৯-২০ মৌসুম। আমাদের চেষ্টা থাকবে ৩০শে জুনের মধ্যে সব দেশের লীগ শেষ করা। যদি এই সময়ের মধ্যে শেষ না করা যায় সেক্ষেত্রে কোনো দলকে শিরোপা দিয়ে দেয়াটা সমীচিন হবে না।’
আর দুই ম্যাচ জিতলেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে লিভারপুলের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো কিছুদিন ধরে সংবাদ প্রকাশ করে আসছিল, দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির (৫৭ পয়েন্ট) চেয়ে ২৫ পয়েন্ট এগিয়ে থাকা লিভারপুলকে (৮২ পয়েন্ট) চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে। তবে সে খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা সভাপতি। এর আগে স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালিস জানান, মৌসুমের বাকি ম্যাচ না হলে লা লিগার শিরোপা কাউকে দেয়া হবে না। ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষে রয়েছে বার্সেলোনা।
মৌসুম শেষ করতে বদ্ধপরিকর ইউরোপের দেশগুলো। ৩০শে জুনের মধ্যে ঘরোয়া ফুটবল শেষ করার সময়সীমা নির্ধারিত থাকলেও প্রয়োজনে সেটি বাড়িয়ে হলেও মৌসুম শেষ করবে উয়েফার সদস্য দেশগুলো। এমন খবর প্রকাশ করেছে ইউরোপের বেশকিছু সংবাদমাধ্যম। শেষ পর্যন্ত যদি ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লীগ বাতিল হয়ে যায় সেক্ষেত্রে বিশাল অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়বে সংশ্লিষ্ট দেশের ফুটবল ফেডারশন ও ক্লাবগুলো। বিশ্বের অন্যতম সেরা বহুজাতিক গবেষণা সংস্থা নেদারল্যান্ডের ‘কেপিএমজি’ জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতিটা হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের। ১১ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা হারাবে তারা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার ক্ষতি হবে স্প্যানিশ লা লিগার। ইতালিয়ান সিরি আ ৪ হাজার ১৮৮ কোটি, জার্মান বুন্দেসলিগা ৩ হাজার ৭২৩ কোটি ও ফরাসি লীগ ওয়ান হারাবে ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা।