ব্রিটিশদের বিদেশ ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ যুক্তরাজ্যের

0

ব্রিটিশ নাগরিকদের বিশ্বের যেকোনও দেশে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ না করতে নির্দেশিকা জারি করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। বৈশ্বিক মহামারি করোনার বিস্তার ঠেকাতে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে দেশটিতে এ পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) ওই ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করে কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব জানিয়েছেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি দ্রুত পাল্টে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমি পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ মন্ত্রণালয়ের (এফসিও) নতুন এ ভ্রমণ নির্দেশিকা ঘোষণা করছি।’

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসা ও ভ্রমণে বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এফসিও। নতুন এ নির্দেশনা আগামী ৩০ দিন কার্যকর থাকবে। তবে প্রয়োজনে যেকোনও সময় এটা পুনর্মূল্যায়ন করা হতে পারে।’

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা নতুন ভ্রমণ নির্দেশনার আওতায় নাগরিকদের বৈশ্বিক ভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।

করোনা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ায় ইউরোপ ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিষয়েও এফসিও’র নির্দেশিকায় সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর নানা পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। ইউরোপ থেকে যাওয়া যাত্রীদের প্রবেশে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ঢাকা।’

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সীমান্ত ৩০ দিনের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে ইউরোপিয়ান কমিশন। ইউরোপের অনেক দেশ বিধিনিষেধ আরোপসহ সীমান্ত বন্ধ করার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার পর এ নির্দেশিকা জারি করলো যুক্তরাজ্য।

নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এতে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা এখন ১ হাজার ৫৪৩ জন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে ১ হাজার ৪৩৬ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন।

ডমিনিক রাব পার্লামেন্টকে জানিয়েছেন, ‘এরপরও ব্রিটিশ নাগরিকদের যারা বিদেশ ভ্রমণ করবেন, তারা ক্রমবর্ধমান বিধিনিষেধের ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। ঝুঁকিটা হচ্ছে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে তারা আপাতত দেশে ফিরতে পারবেন না।’

যুক্তরাজ্যের সরকার জানিয়েছে, এই মুহূর্তে যারা দেশের বাইরে রয়েছেন, তাদের আপাতত দেশে না ফেরার উপদেশ দেওয়া হচ্ছে। যাইহোক, তাদের মনে রাখা উচিৎ, যে কোনও মুহূর্তে স্বল্প সময়ের নোটিশের মাধ্যমে ফ্লাইট বাতিল করা হতে পারে। একারণে যারা দ্রুত দেশে ফিরতে চান, ফ্লাইট চালু থাকা অবস্থায় তাদের দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৭ হাজার ৪৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৮৮ হাজার ১৪৬।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com