সিপিএলে প্রথম ম্যাচেই চমক দেখালেন সাকিব
ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষে ঢাকা থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপে উড়ে গেছেন সাকিব।
আর সেখানে মাঠে নেমেই ক্যারিশম্যাটিক খেলা দেখালেন তিনি।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে নিজের প্রথম ম্যাচেই দলের সেরা পারফরমার হলেন সাকিব।
এদিন সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ব্যাটে-বলে সমান উজ্জ্বল ছিলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক।
বার্বাডোজের মাঠে সাকিবকে পেয়ে ইনিংসের প্রথম ওভার করতে তার হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে প্রথম ওভারটি মেইডেন দেন সাকিব।
প্রথম ওভারে প্রতিপক্ষকে কোনো রান না দিয়েই শুরু হলো সাকিবের এবারের সিপিএল যাত্রা।
বলিংয়ে মুনশিয়ানা দেখিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়েছেন প্রতিপক্ষকে। উইকেট নিয়েছেন ১টি। তার ওভারগুলোতে হাত খুলে ব্যাট চালাতেই পারেননি সেন্ট কিটসের ব্যাটম্যানরা।
ব্যাটিংয়ে নেমেও চমক দেখিয়েছেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ৩ চার ও ১ ছক্কার মারে ২৫ বলে ৩৮ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেছেন তিনি।
এভাবেই সিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচটি রাঙিয়ে রাখলেন সাকিব।
তবে সাকিবের এই অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স দলকে জেতাতে পারেনি। এর একমাত্র কারণ সেদিন ম্যাচে সাকিব ছাড়া আর কেউ তেমন উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি।
যে কারণে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের কাছে মাত্র ১ রানে হেরে গেল সাকিবের বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টস।
গতকাল টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সেন্ট কিটস। সাকিবের কিপটে বোলিং তোপে পড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট খুইয়ে ১৪৯ রান করতে সক্ষম হয়।
জয়ের জন্য মাত্র ১৫০ রান করতে হতো জনসন চার্লস, অ্যালেক্স হেলস, সাকিব আল হাসান, জেসন হোল্ডারদের মতো ব্যাটসম্যান সমৃদ্ধ বার্বাডোজকে।
কিন্তু ব্যাটিংয়ে আট নম্বরে নামা রেয়মন রেইফার ছাড়া আর কেউই সঙ্গ দিতে পারেননি সাকিবকে। ইনিংসের শেষ বলে ১৪৮ রানে অলআউট হয় বার্বাডোজ।
রান তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার জনসন চার্লস ১২ বলে ১৩ এবং অ্যালেক্স হেলস আউট হন ২২ বলে ১৯ রান করে।
তিন নম্বরে নেমে সাকিব আল হাসান একাই টানতে থাকেন বার্বাডোজের ইনিংস। দ্বাদশ ওভারে লংঅন বাউন্ডারিতে ধরা পড়ার আগে খেলেন ২৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।
এর পর বাকি সবাই স্কোরবোর্ডে টেলিফোন নাম্বারের মতো রান বসিয়ে বিদায় হতে থাকেন। জেপি ডুমিনি ১৬ বলে ১৮ করে আউট হলেও জোনাথন কার্টার ২ বলে ১, জেসন হোল্ডার ৭ বলে ১ ও অ্যাশলে নার্স ৪ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
চাপের মুখে বার্বাডোজের আট নম্বরে নামা খেলোয়াড় রেয়মন রেইফার তিন ছয় মেরে খেলায় উত্তেজনা ফেরান। ১৮ বলে ৩৪ রান করে ম্যাচ জমিয়ে তুললেও জয়ের মুখ খুলতে পারেননি।
মাত্র ১ রানে পরাজয় বরণ করতে হয় সাকিবের দলকে।
এ হারে কঠিন হয়েছে বার্বাডোজের প্লেঅফ খেলার পথ। সিপিএলে টিকে থাকতে হলে বাকি দুই ম্যাচেই এখন জিততে হবে সাকিবদের।