স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে: ফারুক
স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো নির্বাচনকে ব্যাহত করার একটি হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নাল আবদিন ফারুক।
জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, প্রকাশনা সংস্থাটিকে স্বৈরাচারী সরকার সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। কোনো বই ছাপাতে হলে কলকাতা পাঠিয়ে দিতো তার বন্ধুর দেশে। সত্যিকার ঘটনাগুলো প্রকাশের সাহস এই প্রকাশনা পরিষদের ছিল না। পাঠ্যপুস্তককেও তারা (আওয়ামী লীগ) স্বৈরাচারী কায়দায় দলীকরণের যে হীন প্রচেষ্টা করেছিল তার প্রকাশ গত ১৬ বছরে আপনারা (জনগণ) দেখেছেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ারত ও ফাতেহ পাঠ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের নবনির্বাচিত কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতের মতো সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদ যেন নিজেরাই নিজেদের প্রকাশনা না করে দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে কথা বলেন এবং লেখেন। তাহলে আপনারা অতীতে ১৬ বছর স্বৈরাচারী কায়দায় আপনাদের প্রকাশনা পরিষদকে যেভাবে দমিয়ে রাখা হয়েছে, সামনে সেটা হবে না। আপনাদের মধ্যেও গণতন্ত্র থাকতে হবে, গণতান্ত্রিক চর্চা করতে হবে, আপনাদেরই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সত্যিকার কথাগুলো লিখতে হবে।
জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ফ্রেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে। আমরা আশা করবো, আপনাদের (জাতীয়তাবাদী সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদ) নবনির্বাচিত কমিটি লেখার মাধ্যমে সব পর্যায়ের জনগণের কাছে জানিয়ে দেবেন, স্বৈরাচার পালিয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখনো নির্বাচনকে ব্যাহত করার একটি হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করার জন্য আগামীতে ঘোষিত যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু হয় এবং আমার ভোট আমি দেবো- এই পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারি, সেজন্য সব প্রকাশককে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।