মশার কামড়ে চুলকানি? চলুন জেনে নেওয়া যাক এর সহজ সমাধান-

0

বর্ষাকাল মানেই মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়া। একবার মশার কামড় লাগলেই শুধু চুলকানি নয়, সঙ্গে আসে অস্বস্তি, লালচে ও ফোলাভাব। বিষয়টি অবহেলা করলে এটি সংক্রমণের কারণও হতে পারে। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, এই ছোট্ট কীট ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকুনগুনিয়ার মতো মারাত্মক রোগ ছড়াতে পারে।

মশা কামড়ালে এর লালা ত্বকে ঢুকে যায়, যা শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উত্তেজিত করে দেয়। ফলে দেখা দেয় তীব্র চুলকানি, লালচেভাব ও ফোলা। তবে কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললেই এই অস্বস্তি থেকে মিলতে পারে দ্রুত আরাম। চলুন জেনে নেওয়া যাক এর সহজ সমাধান-

ঠান্ডা সেঁক

চুলকানি ও ফোলাভাব কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ঠান্ডা সেঁক দেওয়া। বরফের টুকরো একটি কাপড়ে জড়িয়ে বা ঠান্ডা পানিতে ভেজানো কাপড় আক্রান্ত স্থানে ১০-১৫ মিনিট চেপে রাখুন।

অ্যালোভেরার জেল

অ্যালোভেরা প্রাকৃতিকভাবে চুলকানি ও প্রদাহ কমায়। মশার কামড়ের জায়গায় খাঁটি অ্যালোভেরা জেল লাগালে লালচেভাবও দ্রুত কমে আসে।

বেকিং সোডার পেস্ট

অল্প পানি ও বেকিং সোডা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এটি কামড়ের জায়গায় লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের চুলকানি প্রশমনে কার্যকর।

গরম চামচের কৌশল

একটি ধাতব চামচ গরম পানিতে ডুবিয়ে নিন, তারপর হালকা উষ্ণ অবস্থায় কামড়ের স্থানে কয়েক সেকেন্ড চেপে ধরুন। এতে মশার লালার প্রোটিন নষ্ট হয়ে চুলকানি কমে আসে।

ভিনেগারের ব্যবহার

আপেল সিডার ভিনেগার বা সাদা ভিনেগারও চুলকানি কমাতে সহায়ক। আক্রান্ত স্থানে সরাসরি কয়েক ফোঁটা লাগাতে পারেন অথবা ভিনেগারে ভেজানো তুলা চেপে ধরতে পারেন।

প্রাকৃতিক এই উপায়গুলো ব্যবহার করলে মশার কামড়ের বিরক্তিকর চুলকানি থেকে দ্রুত মুক্তি মিলবে, আর ওষুধের উপর নির্ভরশীলতাও কমবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.