আওয়ামী লীগ মানেই হলো জঙ্গি-লুটপাটকারী-দেশ ধ্বংসকারী-টাকাপাচারকারী: সেলিমা রহমান
আওয়ামী লীগ মানেই হলো জঙ্গি-লুটপাটকারী-দেশ ধ্বংসকারী-টাকাপাচারকারী জানিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলতে হলে সংযত হয়ে বলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।
সেলিমা রহমান বলেন, উপদেষ্টারা দল করবে খুব ভালো কথা। ছাত্র-যুবক ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯’র গণআন্দোলন, ৯০’র স্বৈরাচারী আন্দোলন সবসময়ই তরুণ সমাজ করেছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে এরকম ক্ষমতার লোভ ছিল না। তারা দেশের জন্য সবসময় অংশগ্রহণ করেছিল এবং যার যার জায়গায় তারা সে সময় চলে গিয়েছিল। আপনারা সরকারে থেকে দল করবেন সেটা হবে না। বিএনপি একটি বড় দল এবং ঐতিহ্যবাহী দল সেই দলের বিরুদ্ধে কথা বলতে হলে সংযত হয়ে কথা বলতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবসময় দেশের জন্য লড়াই করেছে। দেশের স্বাধীনতার প্রতি জিয়া পরিবারের বড় ভূমিকা ছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের জন্য রক্ত দিয়েছেন। শেখ মুজিবুর রহমান একাত্তরের যুদ্ধের সময় আত্মসমর্পণ করেছিল। সে কখনো মুক্তিযুদ্ধ চায়নি। তার কন্যা শেখ হাসিনা কখনো এ দেশের ভালো চায়নি। তারা শুধু চেয়েছে এই দেশের মাটি। এদেশের ক্ষমতা। আওয়ামী লীগ মানেই হলো জঙ্গি, লুটপাটকারী, দেশ ধ্বংসকারী, টাকাপাচারকারী।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী দোসরদের নানামুখী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নাগরিক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন খবরের কাগজে রোজ দেখা যাচ্ছে, কীভাবে একটা পরিবার দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। এদেশের সব সম্পদ লুটে নিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একেবারে নিঃশেষ করে দিয়েছে। পুলিশকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। এখনো আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখি পুলিশি কার্যক্রম ভালোভাবে চলছে না।দোসররা পালিয়ে গেছে ঠিক, কিন্তু তারা এখনো আমাদের প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তারা ঘাপটি মেরে আছে।
তিনি বলেন, পত্রিকায় দেখলাম ছাত্রলীগ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি দিয়েছে। নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, তাদেরকে আমরা এদেশে আসতে দেব না।
বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য তিনি আরো বলেন, এখনো একটি শক্তিশালী শিক্ষা কমিশন গঠন হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ এখনও নিরাপদে নেই। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী দোসরা আজ চেপে বসে আছে, তাদেরকে এখনো সরানো যায়নি।