ভুলে যাবেন না আমরা ৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি: ভারতকে মেজর হাফিজ

0

ভারতকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নিজেদের পছন্দের নেত্রী বিদায় হওয়ায় গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। এখন বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে আমগাছ কেটে নিয়ে যায়, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। ভুলে যাবেন না আমরা ৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি।

নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, অতিদ্রুত নির্বাচন চাই। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য তিন মাস সময় যথেষ্ট। নির্বাচনের মধ্যদিয়ে জনগণের সরকার আসার সুযোগ দিন। নির্বাচিত সরকার ছিল না বলে ৭১ সালে যুদ্ধ করতে হয়েছিল। আবার কেন নির্বাচিত সরকারের জন্য তর্কবিতর্ক করতে হবে।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের কথা বললে উপদেষ্টাদের মুখ কালো হয়ে যায়, মনে হয় আমরা কোনো অন্যায় দাবি করছি। বিএনপিকে ক্ষমতায় বসান সেটাও বলছি না। বলবো আপনারা কিংস পার্টি গঠন করবেন না। যারা রাজনীতি করতে চায় তারা সরকার থেকে বেরিয়ে রাজনীতি দল গড়ে তুলুক।

হাফিজ বলেন, সংস্কার করবে পার্লামেন্ট। পার্লামেন্টকে আসার ব্যবস্থা করে দিন, শুধু শুধু সময়ক্ষেপণ করবেন না। ছয় মাসেই বুঝা গেছে আপনাদের দৌড় কতটুকু তবুও আপনাদের সম্মান করি। আমরা সব রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ঐক্য চাই। ছাত্র-জনতার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য অত্যন্ত প্রয়োজন। আশা করি, এ ঐক্যের পথে আপনারা কেউ দেয়াল তৈরি করবেন না।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা মানুষকে উজ্জীবিত করেছে। সারা পৃথিবী জানে বাঙালি লড়াইয়ের জাতি তারা প্রতিরোধ করতে জানে। মুক্তিযুদ্ধ যদি না হতো তাহলে দেখা যেত এক মাস পরে ভারতে যারা পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে তারা দেশে ফিরত এবং শেখ মুজিবকে প্রধানমন্ত্রী বানানো হতো। আমরা দেশ বাঁচাতে এবং মা-বোনদের ইজ্জত রক্ষার্থে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছি।

আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশে কেন বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রে এরকম দুর্নীতি করেছে কোন দল এটার প্রমাণ পাওয়া যাবে না। বিএনপি এবং ছাত্র-জনতার ত্যাগের ফলে আমরা আবার নতুন করে গণতন্ত্রপূর্ণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের উচিত এ সময়ে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকা।

প্রফেসর ইউনূস অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তি, তাকে আমরা সম্মান জানাই। তার কোনো সফলতা দেখতে পাচ্ছি না, তবুও তাকে আমরা সম্মান জানাবো। কিন্তু নাবালকদের কথায় আপনি চলবেন না।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.