আবরারের মামলা দ্রুত বিচারে পাঠানোর আবেদন বাবার

0

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বী (২২) হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় ফের চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৮ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

এদিকে নিহত আবরারের বাবা মো. বরকত উল্লাহ ছেলে হত্যা মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর জন্য আবেদন করেছেন।

সোমবার শুনানিকালে বিচারক ইমরুল কায়েশ জানান, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তাই এ আদালত মামলাটি চার্জ শুনানির জন্যই আগামী ১৮ মার্চ তারিখ ঠিক করছেন।

শুনানির পর আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ জানান, ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস থেকে তাকে আসতে বলা হয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আবেদন করার জন্য। তাই তিনি এসেছেন। এরপর তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর অফিসে গিয়ে আবেদনে স্বাক্ষর করেন।

এ সম্পর্কে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু বলেন, ‘ফোন করে এনেছি আবেদনে স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। তিনি আজ (সোমবার) স্বাক্ষর করেছেন। তাই আশা করি আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি পাঠানোর প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে।’

এর আগেও একইভাবে গত ৩০ জানুয়ারি চার্জগঠনের শুনানি পিছিয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করা হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান গত ১৩ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

মামলায় কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন- বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, মো. মনিরুজ্জামান মনির, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান ও এএসএম নাজমুস সাদাত, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, শিক্ষার্থী আবরারের রুমমেট মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী শাসছুল আরেফিন রাফাত, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের তৃতীয় বর্ষে ছাত্র আকাশ হোসেন, শিক্ষার্থী মো. মাজেদুর রহমান মাজেদ, শামীম বিল্লাহ, হোসেন মোহাম্মাদ তোহা, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও এস এম মাহমুদ সেতু। যাদের মধ্যে প্রথম আট জন আদালতে স্বীকারোক্তি করেছেন।

অপর তিন আসামি বুয়েটের ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র মুহাম্মাদ মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল ওরফে জিসান (২২), সিভিল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের ছাত্র এহতেশামুল রাব্বি ওরফে তানিম (২০) ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র মুজতবা রাফিদ (২১) পলাতক রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলার ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত ৬ অক্টোবর একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়। রাত ৩টার দিকে হল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com