‘আদালতের লিফট কি নষ্ট? ‘ইতরামির একটা সীমা আছে’, পুলিশকে ঝাড়লেন কামরুল
‘আদালতের লিফট কি নষ্ট? এত ওপরে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটানো হচ্ছে কেন, ফাজলামি? ২ তলায় বলে চার তলায় উঠাইতেছেন। ইতরামির একটা সীমা আছে।’
রাজধানীর লালবাগ থানার মো. আলী হত্যা মামলায় গ্রেফতার শুনানিতে আদালতের এজলাসে লিফটে না তুলে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটিয়ে নেওয়ায় চটে গিয়ে নিরাপত্তাদানকারী পুলিশ সদস্যদের এভাবেই ঝাড়লেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
কামরুল ইসলাম, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচজনকে হত্যা মামলায় বুধবার সকাল ৯টার আগেই প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়।
এরপর তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর বিভিন্ন থানার হত্যা মামলার শুনানির জন্য তাদের এজলাসে তোলা হয়। এ সময় নিরাপত্তা দিতে সারিবেঁধে পুলিশ হাজতখানা থেকে কোর্টের সিঁড়ি পর্যন্ত ব্যারিকেড তৈরি করে। পরে কামরুল, পলক, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচজনকে মাথায় হেলমেট, হাতে হাতকড়া আর বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে সরাসরি আদালতে তোলা হয়। কিন্তু আদালতের সিঁড়ি দিয়ে তোলার সময় বাঁধে বিপত্তি।
আদালতের লিফটে না তুলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ তালায় তোলা হয় তাদের। এ সময় আসামিদের নিরাপত্তাদানকারী পুলিশ সদস্যদের ওপর চটে যান কামরুল ইসলাম। তখন ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলেন তিনি। পরে কামরুল ইসলামকে পুলিশ সদস্যরা সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠার সময় হাত ধরে সহায়তা করেন।
এ ঘটনায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারকীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লিফটের সামনে অনেক সময় বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ, আইনজীবীদের ভিড় থাকে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে, কোনো রকম ঝামেলা এড়াতে অনেক সময় সিঁড়ি দিয়ে তোলা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী আরও বলেন, আর আদালতে এলেই তিনি পুলিশের সঙ্গে ঝগড়া করেন। কখনো আইনজীবীদের সঙ্গে ঝগড়া বাধান। আবার কখনো উচ্চবাচ্য বক্তব্য দেন। এটা ওনার স্বভাবজাত অভ্যাস।