স্বল্প সময়ে রাশিয়ার জন্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সক্ষম উ. কোরিয়া

0

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে রাশিয়াকে সরবরাহ করতে মাত্র কয়েক মাস সময় প্রয়োজন হয় উত্তর কোরিয়ার। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র পরীক্ষা করে চলতি বছর এটা প্রমাণিত হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এক বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত অস্ত্র শনাক্তকারী সংস্থার প্রধান জোনাহ লেফ। মার্কিন বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।

লেফ জানান, জুলাই ও আগস্টে ইউক্রেনে উদ্ধার হওয়া চারটি উত্তর কোরীয় ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এর একটি ২০২৪ সালে তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, এটি প্রথমবার প্রমাণিত হলো যে, ইউক্রেনে ব্যবহৃত উত্তর কোরীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে কয়েক মাস সময় প্রয়োজন হয়েছে, কয়েক বছরের নয়।

এর আগেও জুনে নিরাপত্তা পরিষদে লেফ জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের শুরুতে ইউক্রেনে পাওয়া ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষা করে তার নেতৃত্বাধীন সংস্থা কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ নিশ্চিত হয়েছে যে, সেগুলো উত্তর কোরিয়ায় তৈরি হয়েছিল।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন নভেম্বরের শেষ দিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেসময় যুদ্ধে মস্কোর প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম দাবি করেছে।

এদিকে, লেফের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন জাতিসংঘে রাশিয়ার প্রতিনিধি ভ্যাসিলি নেবেনঝিয়া। তিনি বলেছেন, লেফ হচ্ছেন ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি । সেজন্য তার সংস্থা পক্ষপাতহীন মূল্যায়ন দিতে অক্ষম। জাতিসংঘে মার্কিন প্রতিনিধি লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ডের ওপরও পরিষদের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন তিনি

অবশ্য মার্কিন প্রতিনিধি পালটা অভিযোগ করেছেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষণ বাতিল করেছে রাশিয়া। তিনি বলেছেন, রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া একসঙ্গে নিষিদ্ধ অস্ত্র পরিবহন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পরিষদের একাধিক প্রস্তাবের সরাসরি লঙ্ঘন করছে তারা।

লেফ বলেছেন, গবেষণায় উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির তিনটি দিক খুঁজে পেয়েছেন তারা। ইউক্রেনে সদ্য তৈরি উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক মিসাইল ব্যবহৃত হয়েছে।

এছাড়া, ২০২৪ সালে প্রস্তুতকৃত ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বোঝা যায়, উৎপাদন, সরবরাহ ও ব্যবহারের মধ্যে সময়কাল খুবই সংক্ষিপ্ত। মিসাইলের কিছু উপাদান উত্তর কোরিয়ার বাইরে থেকে সংগ্রহ করা, যা ২০২৩ সালে তৈরি। এটি প্রমাণ করে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়ার একটি সক্রিয় শক্তিশালী সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে।

জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি কিম সং দাবি করেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক। তিনি বরং অভিযোগ তোলেন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী সামরিক হস্তক্ষেপ ও ইউক্রেনকে দীর্ঘ পাল্লার অস্ত্রসহ হাজার হাজার কোটি ডলার সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে সংঘাত উসকে দিচ্ছে পশ্চিমারা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com