পেটের মেদ ঝরাতে মাঝে মাঝে উপোস সমাধান নয়, বরং যা করা প্রয়োজন
আমরা পেটের মেদ জমলে স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় পড়ি। আর মেদ বৃদ্ধির কারণে হৃদরোগ থেকে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের আশঙ্কাও বাড়তে থাকে। বিপাক ক্রিয়া দুর্বল করে তোলে। আর এ দুশ্চিন্তার মধ্যে পেটের মেদ ঝরাতে মাঝে মাঝে উপোস থাকি। এটি কোনো সমাধান নয়। যা করলে এ পরিত্রাণ পাবেন আপনি।
ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চের এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, এ দেশে প্রায় ১৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষের পেটে মেদ আছে। অর্থাৎ ‘অ্যাবডোমিনাল ওবেসিটি’ আছে। কিন্তু কী উপায়ে পেটের মেদ কমাবেন তা অনেকেই বুঝতে পারেন না।
পুষ্টিবিদরা বলছেন, পেটের মেদ কমাতে হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখা অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য এমন কিছু খাবার বেছে নিতে হবে, যা হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
পেটের মেদ কমাতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে গাজরের রস। আপনার শরীর ছিপছিপে হতে গাজরের ভূমিকা বলা বাহুল্য। রোগা হওয়ার ডায়েটে গাজর রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। মিনারেলস, ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট— গাজরে পুষ্টিকর উপাদানের শেষ নেই। এই উপাদানগুলো শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে তো বটেই, সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। কোনো কিছু না ভেবে রাতের ঘুম না উড়িয়ে বরং সপ্তাহে কয়েক দিন গাজরের রস খেতে পারেন। আর এতে সাফল্য অনিবার্য।
এ ছাড়া চিনাবাদামও আপনার মেদ কমাতে পারে। বাদাম ওজন ঝরায় দ্রুত। মাঝে মাঝে হঠাৎ খিদে পেলে খেতে পারেন চিনা বাদাম। কারণ এই চিনাবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা হজমের গোলমাল কমায়, সেই সঙ্গে বারবার খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। বাদামে রয়েছে ভরপুর প্রোটিনও। ফলে এই বাদাম ওজন ঝরায় দ্রুত।
অন্যদিকে কাজুবাদাম আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এর বিকল্প নেই। কারণ পেটের জমে থাকা মেদ কমাতে কাজুবাদামের জুড়ি মেলা ভার। কাজুবাদাম খাওয়ার নিয়মিত অভ্যাস করুন। কারণ কাজুবাদামে শর্করার পরিমাণ একেবারে কম। সেই সঙ্গে ফাইবার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। ফলে নিয়ম করে যদি খেতে পারেন এই বাদাম, তা হলে বলি নায়িকাদের মতো কোমর পেতে পারেন আপনি