ভারত মিথ্যার বেড়াজাল নির্মাণ করে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে: রিজভী

0

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারত মিথ্যার বেড়াজাল নির্মাণ করে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারের জন্য মায়া কান্না করছেন পার্শ্ববর্তী দেশের রাজনীতিবিদ, নীতিনির্ধারকসহ আত্মা বিক্রিকারী মিডিয়ার লোকজন।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশে নাকি হিন্দুদের বাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, তাদের পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এই ধরনের ডাহা অসত্য মিথ্যার বেড়াজাল নির্মাণ করে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে ভারত। কিন্তু প্রযুক্তির এই যুগে তারা সফল হতে পারছে না তাই এখন হিংসা-প্রতিহিংসার জ্বালায় প্রতিদিন অপপ্রচারের পথ ধরেছে। যে কথাগুলো আমরা জানতে পারছি তাতে মনে হচ্ছে, যে ভারতকে আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে জানতাম, জানতাম দেশটিতে অনেক জ্ঞানী গুণী মানুষ থাকেন। সেই দেশটিকে এখন মনে হচ্ছে হিংস্র ঘাতক এবং প্রচণ্ড রক্তপিপাসু মানুষরা সেখানে বাস করে। শেখ হাসিনাকে দিয়ে তারা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে। সেই স্বার্থ রক্ষার জন্যই তারা শেখ হাসিনার জন্য যে কুমিরের মায়া কান্না করছেন এটাই এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে আমরা বিএনপি পরিবারের উদ্যোগে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি ছাত্রজনতার আন্দোলনে আহতদের খোঁজ নিতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ওরা (ভারত) এত দূর গেছে যে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার যে পতাকা সেই পতাকা ছিড়ে ফেলেছে। কূটনৈতিকদের গায়ে হাত তুলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী এটা আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। সেই অপরাধ তারা করেছে।

রিজভী বলেন, আজকে বার্ন ইউনিটে যে দৃশ্য দেখলাম এই দৃশ্য বর্ণনা করা যায় না। আন্দোলনের সময় আমি কারাগারে ছিলাম বের হয়ে অনেক হাসপাতালে গিয়েছি কিন্তু এত বর্বরতা এত মর্মান্তিক বুকফাটা কান্না বেরিয়ে আসে এই দৃশ্য দেখলে,কারো মুখ ঢাকা মুখ খুললেই মনে হয় এজন্য কোনো হরর ছবির দৃশ্য দেখছি। কে নেবে তাদের দায়িত্ব? কী করে তারা বাঁচবে? এই পরিস্থিতি তৈরি করে গেছেন পলাতক স্বৈরাচার। আর তাদের জন্য এত মায়া কান্না? তার জন্য আজকে সীমান্তে সীমান্তে এসে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে পড়ে তারা নাকি বিক্ষোভ করবে।

তিনি আরও বলেন, শুধু শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য তারা ইসকনের নামে যে চিন্ময় ইসকন থেকে বিতাড়িত অপকর্মের কারণে সরকার তাকে গ্রেপ্তার করেছে, তার জন্য মনে হচ্ছে ভারতের দিল্লি থেকে শুরু করে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পর্যন্ত কান্নার রোল পড়ে গেছে। এইভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র,সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশকে ভয় দেখিয়ে চোখ রাঙিয়ে নতজানু করানো যাবে না।

মন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল পর্যায়ের অপরাধীদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com