নভেম্বর মাসে দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ০ দশমিক ৫১ শতাংশ
নভেম্বর মাসে দেশে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ০ দশমিক ৫১ শতাংশ। এছাড়া এই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতি নিয়ে নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের তথ্যানুসারে, অক্টোবরে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যা নভেম্বরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। অবশ্য খাদ্য-বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি খুব একটা বাড়েনি। অক্টোবর মাসে খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশে।
এদিকে গত বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে খাদ্য ও খাদ্য-বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।
প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। এছাড়া নভেম্বর মাসে বাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসা সেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে।
দেশে গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের কাছাকাছি। বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের গড় চলন্ত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।
সারা দেশের ৬৪টি জেলার ১৫৪টি হাটবাজার থেকে নির্ধারিত সময়ে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই ভোক্তা মূল্য সূচক প্রণয়ন করা হয়েছে।
বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে জুলাই মাসে দেশে এক ধরনের অচল অবস্থা দেখা যায়। ঢাকায় পণ্যের সরবরাহে বাধাগ্রস্থ হয়। এর ফলে জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছিল।
অর্থনীতিবিদের মতে, মূল্যস্ফীতি সব পর্যায়ের ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়ায়। বিশেষ করে দেশের নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ওপর এর প্রভাব পড়েছে।