শীতে সুস্থ থাকতে চুমুক দিন উষ্ণ পানীয়ে
শীতের আমেজ পেতে শুরু করেছেন সবাই। সকালের সময়টা শীত শীত ভাব বলে মনে হয়। এটি শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে—আসছে শীত। শীতের এ মৌসুমে উষ্ণ পানীয়ে চুমুক দিলে শরীর হয়ে উঠবে চনমনে ও ফুরফুরে।
আবার সকালবেলা কোন পানীয়ে চুমুক দিলে দূরে থাকবে রোগবালাই, শরীর থাকবে তরতাজা, তা জানা আমাদের খুবই প্রয়োজন। কারণ এখন শীতের সকাল।
তাই সকালে উঠে চুমুক দিন উষ্ণ পানীয়ে। এগুলো ঝক্কি ছাড়াই বানানো যায়। তৈরি করতে খুব একটা কষ্ট লাগে না। এতে শরীর যেমন গরম হবে, তেমনই ঠেকানো যাবে ছোটখাটো রোগ বা সংক্রমণ। গলাব্যথা হোক বা খুকখুকে কাশি— কয়েক চুমুকেই মিলবে আরাম।
আদা ও লেবু চা
আদা আপনার শরীর গরম করতে সাহায্য করে। এতে থাকে প্রদাহনাশক উপাদান। পাতিলেবুতে থাকে ভিটামিন সি। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ভিটামিনটি। ফলে আদা ও পাতিলেবুর যুগলবন্দি এমন মৌসুমে হতে পারে আদর্শ চা। চা বললেও এতে চা পাতার ব্যবহার হয় না। ফুটন্ত পানিতে একটু আদা থেঁতলে ফেলে দিতে হবে। আদার নির্যাস পানি মিশে গেলে, ছেঁকে নিয়ে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে চা।
দুধ ও হলুদ—
ঈষদুষ্ণ দুধে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার চল বহুদিনের। মা-দাদিরা বলেন— ঘরোয়া টোটকায় ব্যথা-বেদনা কমে, আর শরীর হয় চাঙা। তার কারণও আছে। হলুদে থাকে কারকিউমিন। এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কোলেস্টরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ভিটামিন, খনিজে ভরপুর দুধ সুষম খাবার হিসাবে গণ্য করা হয়। গরম দুধে একটু হলুদ মিশিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে পানীয়। মিষ্টি স্বাদ চাইলে মিশিয়ে নিতে পারেন এক চা-চামচ মধু।