বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মোনায়েল আহমেদ ইমরান (১৬) নামের এক কিশোর নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ মামলায় আরও ১০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নিহতের বাবা মোহাবউদ্দিন ওরফে মো. ছোয়াব মিয়া বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন।
অন্যান্য আসামিরা হলেন সাবেক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, শামীম ওসমানপুত্র অয়ন ওসমান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক পরিচালক ও শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর টিটু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি, সাবেক ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ারুল ইসলাম, ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, পানি আক্তার, ছাত্রলীগ নেতা ইলিয়াস, মো. কবির হোসেন ও তানজিম কবির সজু।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২১ জুলাই বিকেল ৩টার পর শেখ হাসিনার নির্দেশে অন্যান্য আসামিরা অস্ত্র নিয়ে সাইনবোর্ডস্থ সাহেবপাড়া এলাকার পাকা রাস্তার গলিতে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। তখন শামীম ওসমানের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম মোনায়েল আহমেদ ইমরানকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছুড়লে তার বুকের মাঝখানে গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।