অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে মমতার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবেন রাজ্যপাল
অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করতে চলেছেন সিভি আনন্দ বোস। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এরই মধ্যে মামলা দায়েরের খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে সূত্র বলছে, রাজ্যপাল এই মুহূর্তে দিল্লি রয়েছেন। সেখান থেকে ফিরলেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন তিনি।
চলতি লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৪২ আসনে লড়াইয়ের পাশাপাশি বিধানসভার দুই আসনের উপনির্বাচন হয়। এই দুই আসনেই জয় লাভ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। ভগবানগোলায় জয়ী হন রেয়াত হোসেন সরকার ও বরাহনগরে সায়ন্তিকা বন্দোপাধ্যায়।
তৃণমূলের এই দুই জয়ী প্রার্থীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রাজভবনে হওয়ার কথা। কিন্তু এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় নবান্নে এক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সবাই কেন রাজভবনে যাবে? রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছে বলে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে।
মমতার এই মন্তব্যের পর দিল্লি থেকেই প্রতিক্রিয়া জানান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, একজন প্রশাসনিক প্রধানের কাছ থেকে তিনি এমন বিভ্রান্তিকর এবং অবমাননাকর মন্তব্য আশা করেন না।
এবার সেই মন্তব্যের জেরেই তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চান সিভি আনন্দ বোস।
রাজভবন সূত্রে খবর, শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও মানহানির অভিযোগ তুলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার চিন্তা করছেন রাজ্যপাল।
এরই মধ্যে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘাওয়ালের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। তার আগে, গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল তথা ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে এক দফা আলোচনা সেরে নেন সিভি আনন্দ।
অন্য একটি সূত্র বলেছে, এরই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে সেই মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হাইকোর্টের এক আইনজীবী শনিবার জানিয়েছেন, এমন কোনো মামলা দায়ের হয়েছে বলে তিনি শোনেননি।
রাজভবন সূত্রে আরও জানা গেছে, রাজ্যপাল আপাতত দিল্লিতে রয়েছে। তিনি দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেই মামলা দায়ের করা হতে পারে। দিল্লিতে ওই বিষয়ে আইনি পরামর্শ নিয়ে থাকতে পারেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য দোলা সেন বলেছেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমাকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে হবে। এমন স্পর্শকাতর বিষয়ে না জেনে মন্তব্য করা ঠিক নয়।