বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের অতিরিক্ত ব্যাংক ঋণ বেসরকারি খাতকে বাধাগ্রস্ত করবে

0

এই মুহূর্তে দেশের বড় সমস্যা মূল্যস্ফীতি। পণ্যের উচ্চ মূল্যের কারণে জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাস উঠছে। মূল্যস্ফীতির জন্য মুদ্রা ও রাজস্বনীতির চেয়ে বেশি দায়ী অসাধু সিন্ডিকেট। এক্ষেত্রে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ এবং সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না। বুধবার রাজধানীর হোটেল লেকশোরে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত বাজেট বিষয়ক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।

তাদের মতে, বাজেট ঘাটতি মোকাবিলায় সরকারের অতিরিক্ত ব্যাংক ঋণ বেসরকারি খাতকে বাধাগ্রস্ত করবে। অর্থনীতির যেসব নেতিবাচক দিক দেখা যাচ্ছে, বাস্তবে তার চেয়ে অবস্থা আরও ভয়াবহ। দেশ থেকে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা করা হলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বড় অবকাঠামো হলেও সেবার মান বাড়ছে না। অত্যন্ত সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ রাজনৈতিক অর্থনীতির লৌহ ত্রিভুজে আটকে আছে। অদক্ষতা ও দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। এ অবস্থার উত্তরণ জরুরি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা- ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ড. রাশেদা কে চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক লেবার ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, বণিকবার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মনজুর ইলাহীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাজেটে যেসব নেতিবাচক দিক আমরা দেখছি, বাস্তবে তার চেয়ে অবস্থা আরও ভয়াবহ। আগে এসব বিষয় তেমন প্রকাশ হয়নি। গত দুই থেকে আড়াই বছর ধরে এসব বিষয় সামনে আসছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আজকে সে সমস্যা কথা বলছে, সেগুলো আমরা দুই বছর থেকে আগে বলে আসছি। কিন্তু কেউ কোনো গুরুত্ব দেয়নি। আইএমএফ বলার পর সেটি অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে গিয়ে আমাদের অর্থনীতি সমস্যায় ভুগছে। তিনি বলেন, এবারের বাজেটে মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তার মানে হলো- চুরি, ডাকাতি, হামলা, মার্ডার করে সম্পদ অর্জন হলো। কিন্তু সামান্য কর দিয়ে, সেটি বৈধ করে দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) রাষ্ট্রের কোনো সংস্থা কোনো প্রশ্ন করবে না। এটি কার স্বার্থে? যারা চুরি করে তারা কি গণতন্ত্রের উন্নয়ন করবে? তারা দেশের উন্নয়নের জন্য টাকা আনবে? তাহলে কাকে সুরক্ষা দেওয়া হলো?

তিনি বলেন, ‘আমিও আগামীতে কর দেব না’। কারণ আগে দিলে আমার করের হার হবে ৩০ শতাংশ। এটি পরে দিলে ১৫ শতাংশ হারে দিতে পারব। ফলে কেন অযথা বেশি টাকা দিতে যাব। বর্তমান সংসদের বিরোধীদলীয় এই উপনেতা বলেন, কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দিলে সেটি অবশ্যই হওয়া উচিত ছিল, বর্তমানে কর হারের (কারেন্ট রেট) চেয়ে তাদেরকে বেশি দিতে হবে। না হলে সৎ করদাতাদের প্রতি ন্যায্য আচরণ হলো না। ব্যাংকের প্রসঙ্গে বলেন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ থাকবে। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং কানাডাসহ উন্নত দেশগুলোতেও তা আছে। তবে ওইসব দেশে তাদের খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে কী হচ্ছে? ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি, জালিয়াতির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা দরকার। সেটি কী করেছেন? কারা বিদেশে টাকা পাচার করেছে, ওইসব দেশে বাড়ি করেছে, শুনেছি সবার তালিকা করা হয়েছে। এসব বিষয়ে সব তথ্য সরকারের কাছে। কিন্তু বিচার কোথায়? পত্রিকায় যে সব ঘটনা ছাপা হয়েছে, তার একটিরও প্রতিকার হয়নি।

তার মতে, দেশে মূল্যস্ফীতি এখন ব্যাপক আলোচিত বিষয়। কিন্তু এই মূল্যস্ফীতির জন্য রাজস্ব নীতি বা মুদ্রানীতির চেয়ে বেশি দায়ী অসাধু সিন্ডিকেট। পণ্যের অসাধু সিন্ডিকেটের কারণে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। পণ্যের দাম কমাতে সরকারি উদ্যোগের মধ্যে আছে, কোনো কিছুর দাম বাড়লেই কর কমানো হয়। কিন্তু দাম আর কমে না। করের সুবিধাও সিন্ডিকেট পায়। ফলে দাম কমাতে হলে অবশ্যই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। সিন্ডিকেট ভাঙবেন না, বিনা প্রশ্নে কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেবেন, এটি চলতে পারে না। এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে রাষ্ট্র তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা (স্পন্সর) করছে। বিদ্যুতের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আজ বিদ্যুতের দাম বেড়েছে অদক্ষতার কারণে। আপনাদের অদক্ষতায় কেন আমাকে বাড়তি মূল্য পরিশোধ করতে হবে। কেন এখনও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে দেশের টাকা অপচয় হবে, এই প্রশ্নের জবাব জরুরি।

ড. হোসেন জিল্লুর বলেন গুরুত্বপূর্ণ সন্দিক্ষণে দেশ। এর মধ্যে রয়েছেÑ এলডিসি উত্তরণ, মধ্যম আয়ের দেশ এবং ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টকে কাজে লাগানো। এ অবস্থায় নীতি প্রণয়নে আরও কৌশল, সৎ এবং বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়ার দরকার ছিল। কিন্তু বাজেটে দেখা যায়নি। অর্থাৎ কাজের ক্ষেত্রে এসব বিষয় সেভাবে গুরুত্বই পায়নি। আমাদের দক্ষ জনবল তৈরি হচ্ছে না। তাই কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আরও মনোযোগী হওয়া দরকার। যুব সমাজ দেশের ব্যাপারে হতাশ। ৫০ শতাংশ যুবক বলছে, তারা দেশের ভবিষ্যৎ দেখছে না। শিক্ষার্থীদের বড় অংশই দেশের ব্যাপারে হতাশ। তিনি বলেন, খাদ্যের দিক থেকে আমরা নিরাপদ হয়েছি। কিন্তু ২০১০ সালের সঙ্গে তুলনা করলে বর্তমানে খাদ্য আমদানি অনেক বেশি। আর প্রবৃদ্ধির দুই চালক গার্মেন্টস এবং রেমিট্যান্স। এই দুটি শক্তির ওপর নির্ভর করে, আর কতদূর আগানো যাবে সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু নীতিনির্ধারকদের মধ্যে এসব বিষয় তেমন কোনো ভাবনা দেখছি না। বাজেটের অন্যতম খাত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা। কিন্তু ‘অদক্ষতার ফাঁদে আটকা আছে শিক্ষার বিনিয়োগ। তিনি বলেন, বাজেটে শিক্ষার জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়, তার অধিকাংশই ব্যয় হয় অবকাঠামো উন্নয়নে। বড় অবকাঠামো নির্মাণ হয়, কিন্তু শিক্ষার মান বাড়ে না। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম হওয়া উচিত শিক্ষা অবকাঠামো উন্নয়ন মন্ত্রণালয়। একই অবস্থা স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও। কারণ এখানে অবকাঠামো উন্নয়ন হয় কিন্তু সেবার মান বাড়ে না। ৫০ সিটের হাসপাতাল ৫শ বেড হয়ে যায় কিন্তু সেবার মান একই রকম।

তার মতে, বাংলাদেশের দুটি সোনার হাঁস হলো পরিশ্রমী উদ্যোক্তা এবং পরিশ্রমী অর্থনৈতিক কর্মী। এটাকে লালন করা দরকার। সেটি না করে জবাই করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ড. হোসেন জিল্লুর বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। কিন্তু তা রাজনৈতিক অর্থনীতির লৌহ ত্রিভুজে আটকে আছে। এই লৌহত্রিভুজের তিনটি দিক বা বাহু। প্রথমটি হলো জবাবদিহিতাহীন অর্থনীতি। ব্যাংকিং খাতে নজিরবিহীন অনিয়ম চলছে। কিন্তু জবাবদিহিতা নেই। এর সঙ্গে যারা জড়িত, বিভিন্নভাবে এদের সুরক্ষা দেওয়া হয়। এটি শুধু গণতান্ত্রিক সমস্যা নয়। অর্থনৈতিক সমস্যাও। দ্বিতীয় বিষয় হলো সার্বিক কৌশলগত চিন্তার মধ্যে অদক্ষতা ও অলসতা। এখানে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। দীর্ঘদিন ধরে বিনিয়োগ জিডিপির ২৩ শতাংশের মধ্যে আটকে আছে। কিন্তু সামনে আগানো যাচ্ছে না। তৃতীয় বিষয় হলো অদক্ষতা ও দুর্নীতির সার্বিক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ। দুর্নীতি এমন পর্যায়ে চলে যে কেউ কোনো কথা বলছে না।

আব্দুল মান্নান বলেন, মেগা প্রকল্প নিয়ে কথা আসছে। কিন্তু কিছু মেগা প্রকল্প নিয়ে আমরা উত্তেজিত (এক্সাইটেড)। এর মধ্যে রয়েছেÑপদ্মা সেতু, মেট্রোরেল। এ রকম পদ্মা সেতু ৫টি হলেও আমার আপত্তি নেই। আরও খুশি হব। মেট্রোরেল আরও ১০টি হলেও আপত্তি নেই। তবে কিছু উন্নয়ন প্রকল্পে সমস্যা রয়েছে। সেটি অস্বীকার করা যাবে না। তিনি বলেন, কথায় কথায় অনেকে ভিয়েতনামের সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু ভিয়েতনামে নিজ দেশের মানুষের ব্যক্তিস্বাধীনতায় যেভাবে হস্তক্ষেপ করে, তা আমরা মেনে নেব? প্রশ্ন রাখেন তিনি। সাবেক এই পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিরোধী দল, গণমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজসহ (সিভিল সোসাইটি) সবাই যেভাবে স্বাধীনতা ভোগ করছে, সরকারের সমালোচনা করছে, ভিয়েতনামে তা নেই। তবে বাংলাদেশে পলিসি বা নীতির স্থিতিশীলতা দরকার। বিরোধী দলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নান বলেন, বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন, সংসদ বর্জন কর্মসূচি মানুষ গ্রহণ করেনি। এ দেশের মানুষ চাপিয়ে দেওয়া গণতন্ত্র চায় না।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালেই বলেছিলেন শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। অথচ এ খাতে যথেষ্ট বরাদ্দ নেই। টাকার অঙ্কে বরাদ্দ বেড়েছে বলা হচ্ছে, কিন্তু শিক্ষার্থীও তো বেড়েছে। তার প্রশ্ন, ‘সব জায়গায় মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নেওয়া হলেও উপবৃত্তির ক্ষেত্রে তা কেন একই থাকবে? আমরা কি সুনীতি, সুশাসন ও নাগরিক গড়ার জন্য এ খাতে বিনিয়োগ হতে দেখছি’ শিক্ষা খাতে গবেষণা এতই কম যে অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও তা দেখা যায় না। তিনি বলেন, এখন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হয়। কত টাকা আর বেতন পান তারা? অথচ প্রতিটি ধাপে তাদের কাছ থেকে ঘুস (রেন্ট) নেওয়ার অভিযোগ শোনা যায়। রাশেদা কে চৌধুরী আরও বলেন, ‘প্রায়ই বলা হয় টাকা আসবে কোথা থেকে? কেন, সারসার্জ দিয়ে কি আমরা যমুনা সেতু তৈরি হতে দেখিনি?’

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এই ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, যা মোট ঘাটতির ৫৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি একটি অসামঞ্জস্য প্রাক্কলন। এটি অর্জনযোগ্য নয়। ড. ফাহমিদা আরও বলেন, বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর বেসরকারি বিনিয়োগ লক্ষ্যও ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু সরকার ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়ার ফলে বেসরকারি খাতের জন্য ঋণের জায়গা ছোট হয়ে যাবে। বেসরকারি খাত চাহিদা অনুযায়ী ঋণ পাবে না। এতে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। কাক্সিক্ষত প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে না। সরকারের ঋণের বোঝা আরও বাড়বে।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, সুদের হার বৃদ্ধির কারণে এমনিতেই চাপের মধ্যে রয়েছে বেসরকারি খাত। এখন সুদহার বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও সুদহার বাজারের হাতে ছেড়ে দেওয়া ছাড়া কোনো উপায়ও ছিল না। তার ওপর সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেওয়ার ফলে সুদের হার আরও বাড়বে। এতে সরকারের ঋণের বোঝাও আরও বাড়বে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com