‘বর্ষবরণে কোনো বিধিনিষেধ মানা হবে না, আমরা যার যার মতো সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান শেষ করব’

0

নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেছেন, পহেলা বৈশাখে বিকেল ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেটি আমরা মানছি না। এবার আমরা যার যার মতো সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান শেষ করব।

রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এবারও শোভাযাত্রায় দেশীয় লোকজ উপকরণের মোটিফ থাকছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

নিরাপত্তা দেওয়ার নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে শোভাযাত্রা বেষ্টন করে না রাখতে আহবান জানান সংস্কৃতিজনেরা। সেই সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কথা মতো সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার নির্দেশনা মানা হবে না বলে জানিয়েছে সম্মিলিত সংস্কৃতিক জোট।

পহেলা বৈশাখে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করবে বলে জানান সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।

নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেন, পহেলা বৈশাখে ৬টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেটি আমরা মানছি না। এবার আমরা যার যার মতো সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠান শেষ করব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য ও আয়োজনের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বলেন, আমরা যদি পহেলা বৈশাখ উদযাপন না করি, তাহলে মৌলবাদ শক্তিশালী হবে। পহেলা বৈশাখ একটি অসাম্প্রদায়িক উৎসব। মৌলবাদ ঠেকাতে মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রধান অনুসঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা। এটি ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্য। বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। নাড়ির স্পন্দন। দীর্ঘ বছর চলে আসা বাংলা নববর্ষ উদযাপন ও মঙ্গল শোভাযাত্রায় সরকারের কোনো বাধ্যবাধকতা থাকা অপ্রয়োজনীয়। নিজস্ব স্বকীয়তায় মঙ্গল শোভাযাত্রা হওয়া উচিত। মৌলবাদীরা যত সক্রিয় হবে, মঙ্গল শোভাযাত্রার তত প্রসার ঘটবে, জনপ্রিয়তা বাড়বে। এতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। তাহলেই মঙ্গল শোভাযাত্রাসহ বর্ষবরণ উদযাপনের উদ্দেশ্য সাধিত হবে।

তারা আরও বলেন, মুখোশ পরে অনেক সময় দুর্বৃত্তরা অপরাধ করে। তাদের চিহ্নিত করা যায় না। তাই মুখোশ আমাদের হাতে থাকবে। থাকবে নানা ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন। সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার পর ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রমনার বটতলা ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠান চলবে। ঈদের ছুটি কাটিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গল শোভাযাত্রা উপকমিটি এবং বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. নেসার হোসাইন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, অভিনেতা রামেন্দু মজুমদার ও চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী (রণবীর) প্রমুখ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com