দুর্ঘটনার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নজরদারী চায় যাত্রী কল্যাণ সমিতি
ঈদযাত্রায় পথে পথে লাখো মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি কমাতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে গতানুগতিক সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে এসে প্রযুক্তি নির্ভর অত্যাধুনিক পদ্ধতির মনিটরিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
যাত্রী অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠনটি বলছে, আনন্দ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় শত শত মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে ফিটনেসবিহিন লক্কড়-ঝক্কড় যানবাহন বন্ধ করা, নিম্নআয়ের লোকজনের বাসের ছাদে, ট্রাকের চাদে, পণ্যবাহী পরিবহনে যাতায়াত ঠেকাতে ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে দরকার সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সরাসরি হস্তক্ষেপ।
এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সারা দেশে ৭১৪টি অধিক যানজটপূর্ণ এলাকার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। ১০টি জাতীয় মহাসড়কের ২৩৮টি অতিঝুঁকিপূর্ণ দুর্ঘটনা প্রবণ স্পটের বিষয়ে বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের তথ্য মতে, এসব দুর্ঘটনা প্রবণ স্পটে ৬০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কের টোল প্লাজা যানজটমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত প্রতি ঈদে নেওয়া হলেও তা কার্যকর হয় না। ফিটনেসবিহীন যানবাহন বন্ধ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রতি ঈদে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয় না। ফলে সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানী ও যানজটে যাত্রী দুর্ভোগ কয়েকগুন বেড়ে যায় বলে দাবি করেন তিনি।