দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সিন্ডিকেটে সরকার সম্পৃক্ত: গণতন্ত্র মঞ্চ

0

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সিন্ডিকেটে সরকার সম্পৃক্ত বলে অভিযোগ করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা।

শনিবার দুপুরে পল্টন মোড়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তারা।

আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, বিদ্যুৎ-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের দাবীসহ ১০ দাবিতে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। তাদের কোনো কিছু করবার ক্ষমতা নাই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে যে সিন্ডিকেট এই সিন্ডিকেটেই ভুত আছে। এই সরকার নিজেই একটা সিন্ডিকেট, ভোট ডাকাতির সিন্ডিকেট, লুটপাটের সিন্ডিকেট, জনগণের ওপরে নির্যাতন করবার সিন্ডিকেট। আর তাদের সিন্ডিকেটের শাখা হচ্ছে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে অথবা সুবিধা মতো জনগণের পকেট কেটে নিজেদের পকেট ভারি করার জন্যে কতগুলো নিজেদের বন্ধু-বান্ধব, আত্বীয়-স্বজন তাদের মিলিয়ে সমগ্র জনগোষ্ঠিকে ধরে অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে যাওয়া। এজন্য আমরা খুব স্পষ্ট কণ্ঠেই বলতে চাই, এর বিরুদ্ধে লড়াইটাই চূড়ান্ত।

তিনি বলেন, রোজার মধ্যে বিরাট করে আন্দোলনের কর্মসূচি হয়ত আমরা দেবো না। কিন্তু আন্দোলনের এই বাতাসটাকে ধীরে ধীরে আরো বাতাস দিতে থাকব, চাঙ্গা করতে থাকব যাতে রোজার পরে আমরা আমাদের পাওনা কড়ায়-গণ্ডায় আদায় করে নিতে পারি- সেই পরিকল্পনা আমরা করছি। আমরা সবার সমর্থন চাই। দেশে-বিদেশে যারা আছেন সবার সমর্থন চাই।

গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষ থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন রমজান মাসে গণসংযোগ করা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে আগামী রমজান মাসে আন্দোলনকে সংগঠিত করার জন্য, বেগবান করার জন্য, জোরদার করার জন্য গণসংযোগ কর্মসূচি, প্রচার-প্রচারণার কর্মসূচি, বৈঠক-কর্মীসভার রাখব। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রোগ্রাম গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে আমরা গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেবো।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমাদের তিস্তা থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার দুইটা খাল কেটে আবার সেখানে পানি প্রত্যাহার করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ ইতোমধ্যে বরাদ্ধ করা হয়েছে। এতদিন পার হয়ে গেল! সরকার এতটাই নতজানু যে এই পর্যন্ত ভারতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটা সাধারণ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।

‘শুষ্ক মৌসুমে এমনি তিস্তায় পানি থাকে না। প্রধানমন্ত্রী দুইবার ভারত সফর করলেন তিস্তার পানি আনতে পারেন নাই। উল্টো ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহারে উনি চুক্তি স্বাক্ষর করে এসেছেন। এখন শুনেছি ধরলা নদী থেকে ভারত আবার নতুন করে পানি প্রত্যাহার করবে। এরা (সরকার) বাংলাদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার পরিবর্তে ভারতকে তোয়াজ করছে পানির জন্যে। মাঝেমধ্যে দিল্লি-কলকাতাতে বেনারসী শাড়ি পাঠায়, আমের সময় আম পাঠায়, ইলিশ মাছের সময় ইলিশ মাস পাঠায়। আমি পরিস্কার করে বলতে চাই, এসব করে যে কুটনীতি তা নিয়ে বাংলাদেশ পানি আনতে পারেনি। এর বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে আমরা আমাদের দেশ, আমাদের জনপদ, আমাদের পানি সম্পদসহ কোনো কিছুকে রক্ষা করতে পারব না।’

বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, আওয়ামী লীগের পাণ্ডারা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন তচনচ করেছে। সুপ্রিম কোর্ট আর সুপ্রিম কোর্ট নাই। এটা এখন আওয়ামী লীগের দখলে চলে গেছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে, এই সরকারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিরোধে গড়ে তুলতে হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com