মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বেমালুম গিলে ফেলেছে আওয়ামী লীগ: বিএনপি

0

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সেই চেতনাকে তারা বেমালুম গিলে ফেলেছে। নষ্ট করে ফেলেছে, ধ্বংস করে ফেলেছে।‘

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটা মুক্ত সমাজ, একটা গণতান্ত্রিক সমাজ। সেই লক্ষ্যেই আমরা সংগ্রাম করছি। সেই সংগ্রামে ইতিমধ্যে আমাদের ১৫ জন নেতাকর্মী শাহাদাৎ বরণ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের বড় ব্যর্থতা তারা এদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দুর্নীতিতে খেয়ে ফেলেছে। বিচার বিভাগকে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না এবং সব জায়গায় দলীয়করণ করে ফেলেছে। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপিসহ অনান্য রাজনৈতিক দলগুলো ১০ দফা কর্মসূচি পালন করছে৷ পুরো জাতি আজকে এই ১০ দফা পালনে নেমে পড়েছে।’

আওয়ামী লীগের নির্যাতনের মাত্রা যত বাড়ছে মানুষ তত দৃঢ় হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই ১০ দফার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে একটা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। প্রতিদিন অত্যাচার নির্যাতন মাত্রা বাড়ছে। যত বাড়ছে নির্যাতনের মাত্রা ততো মানুষ আরও দৃঢ় হচ্ছেন, শক্ত হচ্ছেন। দৃঢ়তার সঙ্গে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজপথে নামছে।‘

জিয়াউর রহমান বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে ঐক্যের রাজনীতি শুরু করেছিলেন মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি বিভাজনের রাজনীতি বাদ দিয়ে ঐক্যের রাজনীতি শুরু করেছিলেন। আজকে দুর্ভাগ্যজনক এবং ইচ্ছেকৃত ভাবে আওয়ামী লীগ সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়ে একদলীয় শাষন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।‘

আগামী ১৯ জানুয়ারি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপির নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে জিয়াউর রহমান অন্তত প্রাসঙ্গিক শুধু নয়, অতন্ত প্রয়োজনীয় একজন নেতা। সেজন্য বিএনপির তার জন্মদিন স্মরণ করে রাখতে একটা বড় কর্মসূচির আয়োজন করছি।’

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১৯ জানুয়ারি সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন। বেলা ১১টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা শেরেবাংলা নগরের জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ অর্পণ করবেন।

এদিন বিকেল ৩টায় রমনায় ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।

জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। ঢাকা শহরসহ সারাদেশে জেলা, উপজেলা, মহানগর ও পৌরসভায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

১৭ জানুয়ারি মহিলা দলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ, ১৮ জানুয়ারি ছাত্রদলের উদ্যোগে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। ২০ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।

এছাড়া ২১ জানুয়ারি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল, ২২ জানুয়ারি মুক্তিযুদ্ধা দল, ২৪ জানুয়ারি যুবদল ও ২৬ জানুয়ারি স্বেচ্ছাসেবক দল আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com