অবশেষে জামিন পেলেন ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ (২৪) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন দিয়েছেন আদালত।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগ পর্যন্ত এ জামিন আদেশ বহাল থাকবে। রোববার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে জামিন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারক।
আদালতে বুশরার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোখলেসুর রহমান বাদল। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ তার জামিনের বিরোধিতা করেন।
এ সময় ফারদিনের বাবাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুর রহমান।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন বুশরা। এর পর ৫ জানুয়ারি একই আদালতে বুশরার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত বুশরার জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য ৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন।
ফারদিনকে খুন করা হয়েছে দাবি করে ১০ নভেম্বর রামপুরা থানায় করা মামলায় ‘হত্যার পর লাশ গুম’ করার অভিযোগ আনেন ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন।
সেই মামলায় ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে এক নম্বর আসামি করা হয়। একই দিন তাকে গ্রেফতার করা হয়। ৫ দিন রিমান্ডের পর এখন তিনি কারাগারে আছেন।
মামলার অভিযোগে ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন বলেন, ফারদিনকে রামপুরা এলাকায় বা অন্য কোথাও হত্যাকারীরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যার পেছনে তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার ইন্ধন রয়েছে।
তার আগে ৭ নভেম্বর বিকালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, ‘তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে’।সূত্র: যুগান্তর