গণতন্ত্রের নামে কেঁড়ে নেয়া হচ্ছে জনগণের মৌলিক অধিকার,।

0

আওয়ামী নামক ক্ষমতাসীনরা আজ রাষ্ট্রের নিজস্ব ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে বিসর্জন দিয়ে আধুনিকতার নামে মিথ্যা এবং ভ্রান্ত প্রচারণার মরীচিকার পেছনে ঠেলে দিচ্ছে বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে, একই সাথে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না দেশের জনগণকে,। তাদের সংঘাত, সংশয়, ত্রাস ও অমানবিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা সৃষ্টি করে ন্যূনতম বাঁচার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে,। বিভিন্ন নামের তত্ত্ব এবং গণতন্ত্রের নামে কেঁড়ে নেয়া হচ্ছে আজ জনগণের মৌলিক অধিকার,। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর একটাই লক্ষ্য দেশের জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক তাদের মুখাপেক্ষী করে তুলে ক্ষমতার কুক্ষিগতকরণ,। এর জন্যই, গড়ে তোলা হয় কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর অনুকূলে গণবিরোধী রাষ্ট্রীয় অবকাঠামো, প্রশাসন, আইন বিভাগ এবং আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা,। প্রণীত হয় দেশের সংবিধান প্রয়োজনে যার কাটছাঁট করা হয়ে থাকে শুধুমাত্র তাদেরই স্বার্থে,।

যেকোনো অনুন্নত দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোর নিয়ন্ত্রণ থাকে জাতীয় ক্ষমতাশালী সেবাদাস এবং তাদের বিদেশী মোড়লদের হাতে,। ফলে সঠিক তথ্য জনগণঅব্দি পৌঁছায় না,। সত্য উদ্ঘাটনের প্রচেষ্টাও হারিয়ে যায় মিথ্যা প্রচারণার দাপটে,। এর ফলে সবচেয়ে মারাত্মক যে অবস্থার উদ্ভব হয়, তা হলো অপ্রতিহত মিথ্যার রাজত্ব,।
বাংলাদেশে বর্তমানে আওয়ামী ক্ষমতাসীন দলের হাতে সে-ধরনের গণতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা চলছে,।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পরিভাষায় ‘গণতন্ত্র‘ শব্দটির মানে হচ্ছে, জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা এবং আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং রাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়নের সব সিদ্ধান্তে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলনের নিশ্চিতকরণ,। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা কায়েম করার কতগুলো পূর্বশর্ত রয়েছে,। যেমন সহনশীলতা, ভিন্ন মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, সব দ্বন্দ্বের সমাধান যুক্তিতর্ক এবং আলোচনার মাধ্যমে করা, প্রশাসন এবং আইন বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ ভাবে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ রাখা, সংঘাত কিংবা প্রতিহিংসা পরায়ণতা পরিহার করা, সর্বসম্মতি সাপেক্ষে গৃহীত সংবিধানের প্রতি অনুগত থাকার বাধ্যবাধকতা, সংবিধানে কোনও পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে সরকারি এবং বিরোধী দলের মধ্যে কোনও বিষয়ে মতপার্থক্য সংসদে নিরসন করা অসম্ভব হলে গণভোটের মাধ্যমে সেই মতপার্থক্যের নিরসন করা, সর্বোপরি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করা, এইসমস্ত পূর্বশর্তগুলো যেসব সমাজে বর্তমান সেখানে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা অবশ্যই সফল হবে,।

কিন্তু এই পূর্বশর্তগুলো যে সমস্ত রাষ্ট্রে অথবা সমাজে অবর্তমান সেখানে স্বচ্ছ এবং সত্যিকারের গণতন্ত্র কখনই কার্যকর হতে পারেনা,। সেখানে গণতন্ত্রের নামে চলে স্বৈরাচার এবং সেটা ক্রমান্বয়ে পরিণত হয় পরিবারতন্ত্রে,।

তাই আসুন বাংলাদেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণকে সাথে নিয়ে গণতন্ত্র হত্যাকারী, জোর করে ক্ষমতার মসনদ দখল করে নেয়া, রাতের ভোটে নির্বাচিত, ভোটডাকাত, অবৈধ আওয়ামী ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে এক দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলি,। কেননা বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ প্রতিনিয়ত চিৎকার দিয়ে বলতে চায় “ফিরিয়ে দাও গনতন্ত্র” “ফিরিয়ে দাও ভোটাধিকার”

-ডালিয়া লাকুরিয়া

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com