0

জামালপুরের ইসলামপুরে নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের হাড়গিলা তারতাপাড়া বেড়িবাঁধ রক্ষায় বালুর বস্তা ডাম্পিংয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রমান হাসান এমন অভিযোগ করেছেন।

তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, প্রকল্পে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বালুর বস্তা ডাম্পিং করা হয়েছে। বস্তার মধ্যে উন্নত মানের ও মোটা বালি ব্যবহার করার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হয়েছে বিট বালি। যা পানির স্রোত বা অল্প ঢেউয়ে সহজেই ধুয়ে চলে যাবে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে একটি আবেদনও করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জামালপুর পাউবো সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ তারতাপাড়া বেড়িবাঁধটি যমুনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ১০০ মিটার বালির বস্তার ডাম্পিংয়ে ৪২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। মেসার্স মারুফ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৪২ লাখ টাকায় সাত হাজার ৮৪৪টি বালুর বস্তা ডাম্পিংয়ের কার্যাদেশ দেয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বালুর বস্তা ডাম্পিংয়ের কাজ সম্পন্ন করেছে।

সোমবার যমুনা তীরবর্তী হাড়গিলার তারতাপাড়া বেড়িবাঁধে সরেজমিনে গেলে গুলজার আলীসহ স্থানীয় লোকজন বালুর বস্তাগুলো গুণে গুণে দেখান। প্রকল্পের তদারকি কর্মকর্তা পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেনের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বাচ্চা অসুস্থ ঢাকায় হাসপাতালে আছি, পরে কথা বলব। এই বলে লাইন কেটে দেন’।

ওই প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত অপর কর্মকর্তা ইসলামপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসারের প্রতিনিধি নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা মো: সুলতান মাহমুদ। তার অফিসে গেলে কোনো কথা না বলে সাংবাদিক পরিচয় জেনে অফিস ফেলে দ্রুত পালিয়ে যান তিনি।

জামালপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী দ্বীন মাহমুদের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিং এ আছি, পরে কথা বলব বলে লাইন কেটে দেন। বুধবার আবারো তাকে ফোন করা হলে তিনি কোনো কথা না বলে তার অফিসে চা খাওয়ার দাওয়াত দেন।

এ ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: তানভীর হাসান রুমান বলেন, সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইসলামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, বাঁধে বস্তা ডাম্পিংয়ে অনিয়মের অভিযোগ লোক মুখে শুনেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ২০১০ সালের দিকে স্থানীয়রা প্রথমে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করেন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের প্রচেষ্টায় সরকারি অর্থায়নে বাঁধটি সম্প্রসারিত করা হয়। এতে যমুনার বুকে জেগে ওঠা কয়েক হাজার একর চরের জমি বিস্তৃত সবুজ ফসলের মাঠে পরিণত হয়েছে।সূত্র: নয়াদিগন্ত

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com