সীমান্তে অবিস্ফোরিত মর্টারশেলের গোলা, বিপাকে বিজিবি
নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে অবিস্ফোরিত এক মর্টারশেলের গোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে ৩৪ বিজিবি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র মতে, রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে সীমান্তের ৩৪ বিজিবির তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার লোকজন একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পান। তারা পাশের তুমব্রু বিওপি কমান্ডারকে খবরটি জানালে তিনি বিকেলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান। তখন তিনি খবর পাঠান ৩৪ বিজিবি তার অধিনায়কের কাছে।
বিজিবি সূত্র জানান, অধিনায়কের নির্দেশে (১৯ ডিসেস্বর) সকালে একদল বিশেষজ্ঞ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন অবিস্ফোরিত একটি মর্টারশেলের গোলা। আর তাও সীমান্ত পিলার ৩৫ এলাকায় তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পের বিপরীতে মিয়ানমারের কাটাতারের বেড়া সংলগ্ন মিয়ানমারের অভ্যন্তরে প্রায় ৫০ গজ ভেতরে। যা অবিস্ফোরিত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিধায় বাংলাদেশ বিজিবি বোমা বিশেষজ্ঞ টিম তা উদ্ধার বা বিস্ফোরিত না ঘটিয়ে ফেরত আসে সেখান থেকে।
এ বিষয়ে ৩৪ বিজিবি অধিনায়ক কর্ণেল মেহেদী হাসান এ প্রতিবেদককে বলেন, অবিস্ফোরিত একটি মর্টারশেল সীমান্তে পড়ে থাকার খবর পেয়ে তার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নয়- মিয়ানমারে। তাই বিজিবির সদস্যদের এ বিষয়ে করার কিছুই ছিল না। তারা মর্টারশেলটি অবস্থায় রেখে ফেরত চলে আসে। তবে লোকজনকে সর্তক করে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, এ নিয়ে বিজিবি ও এলাকাবাসী বিপাকে। কেননা সীমান্তের এপারের অনেক শিশু ও প্রাণী ওপারে যায়, খেলাধুলা করে। আর সে সময় ওই মর্টারশেলটি বিস্ফোরিত হলে কি-না হয়, সে চিন্তায় তারা বিপাকে পড়েছে। এ জন্যে এই পয়েন্টে স্থানীয় লোকজনকে সেদিকে না যেতে নিষেধ করেন বিজিবি ও জনপ্রতিনিধিরা। এটা নিয়ে তারা সামান্য চিন্তিতও বটে।
সীমান্তের লোকজন এ প্রতিবেদককে আরো বলেন, মিয়ানমার বাহিনীর ছোঁড়া অনেক মর্টারশেল সীমান্ত এলাকায় এই ভাবে আরো পড়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। যেমনটি দেখতে পাওয়া গেছে ৩৫ পিলার এলাকাটিতে।সূত্র: নয়াদিগন্ত