জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে

0

নীলফামারীর ডিমলায় জেলহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে ফেরদৌস পারভেজ নামে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (০৩ নভেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯টায় ডিমলা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ওই মুক্তিযোদ্ধা। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা।

ফেরদৌস পারভেজ ডিমলার বাবুরহাট এলাকার আবুল কাশেম সরকারের ছেলে ও  উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জেলহত্যা দিবস উদযাপনের জন্য ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় সংগীত, দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন ও বিজয় চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের কর্মসূচি নেয়। এজন্য দলীয় কার্যালয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জড়ো হতে থাকেন। সকাল ১০টার দিকে কর্মসূচিতে অংশ নিতে দলীয় অফিসে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম।

এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামের সঙ্গে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ ও ছাত্রলীগের সভাপতি আবু সায়েম সরকারের পতাকা উত্তোলন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক সময় যুবলীগ নেতা ফেরদৌস পারভেজ বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ধাক্কাধাক্কি করেন। পরে যুবলীগ নেতা ফেরদৌস পারভেজের লোকজন জেল হত্যা দিবসের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা তবিবুল ইসলাম বলেন, জেলহত্যা দিবসে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফেরদৌস পারভেজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের আবু সায়েম সরকার আমাকে পতাকা উত্তোলন করতে দেবে না ও রাজাকার বলে গালিও দেয়। আমি এর প্রতিবাদ করায় পারভেজ ও সায়েমসহ আরও ১৫ জন আমাকে ধাক্কা দেয়। এছাড়া আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এজন্য রাতেই ডিমলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com