আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করা হবে: মির্জা ফখরুল

0

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিলে আওয়ামী লীগের চিহ্ন থাকবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তত্ত্বাবধায়কে ভোট হলে ১০ আসনও পাবে না তারা। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট সরকারকে পরাজিত করা হবে।

শনিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল পালন করেছে আওয়ামী লীগ।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, আপনারা অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। কারণ, আপনাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

ফখরুল বলেন, তিন দিন ধরে সমস্ত কিছু বন্ধ করে দিয়েছে। দুদিন ধরে বাস বন্ধ করে দিয়েছে। নৌ পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু এত কিছুর পরেও গণতন্ত্রের লড়াইয়ের যে সংগ্রাম তাতে বাধা দিতে পারেনি। প্রশাসনকে ব্যবহার করে জনগণকে দমিয়ে রাখা যায় না। আজকে সেটা আবার প্রমাণ হয়েছে।

সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এই সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। বিচার বিভাগে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করেছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে নষ্ট করে দিয়েছে, মানুষ সেবা পায় না।

তিনি বলেন, জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন করতে পারি এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারি তাহলে আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন টেকব্যাক বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে ফিরিয়ে নিয়ে আসো, কোন বাংলাদেশ? যে বাংলাদেশের জন্য আমরা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম। সমৃদ্ধির বাংলাদেশ, মানবিকতার বাংলাদেশ, মানবাধিকারের বাংলাদেশ, ভালোবাসার বাংলাদেশ। আমরা সেই বাংলাদেশকে ফিরে পেতে চাই।

ফখরুল বলেন, আমরা ভবিষ্যতে যদি রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব পাই তাহলে তরুণ যুবকদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করব। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করব। আর যারা মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি করেছে তা তদন্তে কমিশন গঠন করব।

জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের দাবিতে বিভাগীয় (দলের সাংগঠনিক বিভাগ) পর্যায়ে সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ সম্পন্ন করেছে দলটি। খুলনার সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com