আ.লীগ ১০০টা কথা বললে ৯৫টাই মিথ্যা বলে: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগের লোকজন সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১০০টা কথা বললে ৯৫টাই মিথ্যা বলে।
সরকারের সমালোচনা করে সাইফুল হক বলেন, সরকার বিদেশের দোহাই দেয় নিজেদের চুরি ঢাকার জন্য। আজকে তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী ১৮ দিন বিদেশ থেকে আসার পর যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা শুনে মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তিনি বলেছেন, আগামী বছর নাকি দুর্ভিক্ষ হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে এ কথা বললে, তার ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তার বক্তব্যে সিন্ডিকেট, মজুদদার ব্যবসায়ীরা মজুদ করবে।
গতকাল শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির ঢাকা মহানগর সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার কোনোভাবেই দেশ চালাতে পারছে না। বাজারের আগুনে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ পুড়ে মরছে। দেশে সরকার আছে বাজারে গেলে সেটি মনে হয় না। ক্ষমতায় থাকতে ভোটের দরকার নেই, তাই সরকার যা খুশি তাই করে দেশকে গজবের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, এখন মানুষের মনে দুশ্চিন্তা, তাহলে কী ৭৪’র মতো দুর্ভিক্ষ হবে? বাজারে গেলে দেখবেন, টাকা দিলেই পণ্য পাচ্ছেন। তার মানে আমাদের উৎপাদন ঠিক আছে। সমস্যাটা হলো মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। গত ৮ মাসে ৪০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে এসেছে। দেশ সামাল না দিতে পারলে কেন ক্ষমতায় আছেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মানুষ বেহেশতে আছে। এটা মোটেই বেফাঁস কথা নয়। বেহেশতে তারা আছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেহেশতে আছেন।
তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশে নাকি ভিক্ষা নেওয়ার মানুষ নেই। এ কথা কী সত্য? তথ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি ভুল-ভাল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।
গাইবান্ধার উপ-নির্বাচন নিয়ে সাইফুল হক বলেন, সিসিটিভিতে দেখা গেছে কীভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চুরি করেছে। সিইসি নিজে বলেছেন এরা ডাকাত, এরা দুর্বৃত্ত। আর কিছু আছে? যে নির্বাচন কমিশন একটা উপ-নির্বাচন করতে পারে না, কীভাবে তারা এত বড় জাতীয় নির্বাচন করবে? সুতরাং নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ ২০১৮ সালের মতো আর কোনো ব্যর্থ নির্বাচন দেখতে চায় না।