যেখানে বাধা আসবে, সেখানেই যুদ্ধ করতে হবে: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সরকার নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে পারে। বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসবে। যদি এমন কোন বাধা অতিক্রম করতে কষ্ট হয়, যেখানে বাধা আসবে, সেখানেই যুদ্ধ করতে হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জনগণ অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। যেটা বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় রেখে সম্ভব না। গাইবান্ধার উপনির্বাচন তার প্রমাণ। এতেই প্রমাণ হয় এই সরকারের হাতে ন্যূনতম ক্ষমতা থাকা অবস্থায় কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কেউ কেউ বলছে, নির্বাচন কমিশন যে সৎ সেটা প্রমাণ করার জন্য সম্ভবত এই নির্বাচন স্থগিত করেছে। পাশাপাশি তাদের অক্ষমতাও পরিষ্কারভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং আমাকেও যদি নির্বাচন কমিশনের প্রধান করা হয়, আমি নিজের ভোটটা দিতে পারব কিনা সন্দেহ আছে।
তিনি বলেন, মূল দাবি যদি আমরা আদায় করতে যাই, তাহলে এই সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। সরকারের পতনটা নিশ্চিত করতে হবে। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পরবর্তীতে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা শিগগিরই প্রত্যাহার করতে হবে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে অনুষ্ঠিত খুলনা বিভাগীয় সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২২ অক্টোবর খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের দাবি নিজের ভোটটি নিজে দিতে চায়। এটা রাজনৈতিক দলের দাবি না, জনগণের দাবি। জনগণ সভা-সমাবেশে আসছেন, এই কারণে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বাধা সত্ত্বেও জনসভা কিন্তু আশাতীতভাবে সফল হচ্ছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মান-অভিমান ভেঙে জনসভায় একত্রিত করা হবে। বিভাগে একটি গণজোয়ার সৃষ্টি করা হবে। যদি গণজোয়ার সৃষ্টি হয়, সেই জোয়ারেই ভেসে যাবে আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তায়ন অথবা পুলিশের অতি উৎসাহী কর্মকাণ্ড।