শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন সম্পর্কে উদাসীন বলেই দুইদিন ছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ছুটি সপ্তাহে দুইদিন করা হয়েছে; এটি নজীরবিহীন ঘটনা, পৃথিবীর কোথাও এর দৃষ্টান্ত নেই। এই সরকার প্রকৃত শিক্ষাবিরোধী সরকার। এরা পরীক্ষায় নকলকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছে। সুতরাং শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন সম্পর্কে এরা উদাসীন বলেই দুইদিন ছুটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রিজভী বলেন, ‘লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠিয়েছেন বলে আওয়ামী নেতা ও মন্ত্রীরা জাতির সামনে যে নর্তন-কুর্দন করেছেন সেটির বিষাদময় পরিণতি এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। রাজধানীসহ শহরগুলোতে ৫/৬ ঘন্টা লোডশেডিং তো থাকছে, কিন্তু গ্রামের মানুষ রাতের বেশিরভাগ সময় অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকে। দিন-রাত মিলে বিদ্যুতের দেখা পাওয়া দুষ্কর। মূলত: শেখ হাসিনার তথাকথিক উন্নয়নের মোড়কের ভেতরটা ছিল ফাঁপা। এই ধরণের পরিস্থিতি সরকারের অসৎ অনাচারের সারাংশ মাত্র।’
গতকাল মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের পরিস্থিতি যে ক্রমান্বয়ে শ্রীলঙ্কার পরিণতি বরণ করতে যাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশের জনশক্তি ও গার্মেন্টস রপ্তানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা প্রকট হয়ে উঠেছে। রেমিটেন্স কমতে শুরু করেছে। অফিস-আদালতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সময়সূচি সংকুচিত করতে গিয়ে এখন মানুষের জীবন বাঁচাতে সবচেয়ে জরুরি যে জিনিস ওষুধ সেই ফার্মেসিও রাত ১২টার পর বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মানবতার অস্তিত্বকেও তারা এখন ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এরা জনস্বার্থকে তাচ্ছিল্য করতে কোন দ্বিধা করে না।’
রিজভী বলেন, ‘এই নব্য বাকশালীদের আমলে গণমাধ্যমের গলায় এমনিতেই ফাঁসির দড়ি ঝুলছে। এখন সেই ফাঁসির দড়িতে টান দেয়ার জন্য নানা ধরণের কালাকানুনের অন্ত নেই। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সাংবাদিকদের জরিমানার বিধান রেখে আবারো নতুন করে আইন অনুমোদন করেছে। এটি মূলত: সাংবাদিক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করারই আরেকটি পদক্ষেপ। সাংবাদিকদের জরিমানার বিধান রেখে প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) আইন মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে সেটির বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’