জনসম্মতিহীন সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে: গণতন্ত্র মঞ্চ
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, আমরা আগেই বলেছি, দমন-পীড়ন করে গণ-আন্দোলন ঠেকানো যাবে না। বর্তমান জনসম্মতিহীন সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং জনগণের ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও শাসনব্যবস্থা বদলানোর লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
সোমবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর মোহাম্মাদপুর টাউন হলের সামনে জোটের প্রচারণায় অংশ নিয়ে মঞ্চের নেতারা এসব কথা বলেন। আগামী ২৭ আগস্ট গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচি সামনে রেখে এ প্রচারণায় অংশ নেন নেতারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান জনসম্মতিহীন সরকার অযৌক্তিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করে জনগণের নাভিশ্বাস তুলেছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধিকে যুক্তি হিসাবে দেখানো হলেও গত সাত বছরে জ্বালানি বেচে সরকার যে ৪৮ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে এবং এই বছরেও সরকার যে ৯ হাজার কোটি টাকা কর আদায় করবে সেই টাকা সমন্বয় করলেই বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির ফলে যে বাড়তি টাকা খরচ হচ্ছে তা অনায়াসেই সমন্বয় করা যায়। কিন্তু সরকার তা না করে আসলে তার লুটপাট-দুর্নীতির ব্যায়ভার জনগণের ওপর চাপাচ্ছে।
দেশের অর্থনীতি যে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে, এর জন্য সরকারের উন্নয়নের নামে লুটপাটের নীতি দায়ী বলে অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার তার কাছের লোকদের লুটপাটের সুযোগ করে দিতেই জ্বালানি খাতকে আমদানি নির্ভর করেছে, যার ফলে এখন বৈশ্বিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা খাঁদের কিনারায় গিয়ে ঠেকেছে। লুটপাট আর পাচারের ফলে যে ডলার সংকট তৈরি হচ্ছে, এই সংকটকে পুঁজি করে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। আর এর ফলে বাড়ছে সকল পণ্যের দাম। লাভবান হচ্ছে সরকারের ছায়াতলে কতিপয় লুটেরা।
কর্মসূচিতে সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকি, তানিয়া রব, মোমিনুল ইসলাম, আখতার হোসেন, রাশেদ খান, বহ্নি শিখা জামালী, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বাচ্চু ভুইয়া, আকবর খান, কবির হাসান, ইমরান ইমন বক্তব্য রাখেন।