পুলিশ হেফাজতে দোকান কর্মচারীর মৃত্যু, শাস্তি দাবি মানবাধিকার কমিশনের

0

চট্টগ্রামের টেরীবাজারে কাপড়ের দোকানের এক কর্মচারীর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে স্বায়ত্তশাসিত এ সংস্থাটি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে গতকাল শুক্রবার (১ মে) ওই চিঠি পাঠানো হয়।

গত ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন টেরীবাজারের কাপড়ের দোকানের দুই কর্মচারীকে আটক করে কোতোয়ালি থানার বক্সিরবিট পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যান উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল।

নিহতের পরিবার ও এক দোকান কর্মচারীর অভিযোগ, ফাঁড়িতে মারধরের একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়েন কর্মচারী গিরিধারী চৌধুরী। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় এসআই কামরুলসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন হেফাজতে মৃত্যুকে কখনো সমর্থন করে না। হেফাজতে মৃত্যু মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনগণের সেবায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে পুলিশের তিনজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এমন সময় পুলিশের কতিপয় সদস্যের এ ধরনের অপেশাদারি আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। কতিপয় সদস্যের কর্মকাণ্ডে পুরো বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ওই ঘটনায় এসআই কামরুলসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিশন মনে করে, কেবল প্রত্যাহারই এই ধরনের জঘন্য অপরাধের শাস্তি হতে পারে না।

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়। 

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com