করোনার মধ্যেই দর্শক-ঠাসা স্টেডিয়ামে ফুটবল শুরু এই দেশে
দর্শকে ঠাসা স্টেডিয়াম। প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটাচ্ছেন ফুটবলপ্রেমীরা। মাঠে ৯০ মিনিট ঘাম ঝড়াচ্ছেন ফুটবলাররা। এমন দৃশ্য দেখার জন্য গোটা বিশ্ব হাহুতাশ করে বসে রয়েছে। লকডাউনের দুনিয়ায় এমন দৃশ্য যেন স্বপ্নের মতো মনে হয়। কিন্তু না, তুর্কমেনিস্তানে এখন এটাই বাস্তব। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। গোটা বিশ্ব যখন করোনার থাবায় বিধ্বস্ত, তখন সে দেশে রোববার শুরু হল ফুটবল মরশুম।
এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আত্মঘাতী গোল করে বসল না তো প্রশাসন? তেমনটা কিন্তু মনে করছে না সরকার। কারণ দুনিয়ার মুষ্টিমেয় কিছু দেশের মতো তাদের দেশেও করোনার ছায়া পড়েনি। একজনও করোনায় আক্রান্ত হয়নি বলেই খবর।
কিন্তু মার্চে করোনা মহামারির আকার ধারণ করার পরই সেখানেও সমস্ত ম্যাচ স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মেনেই ফুটবল স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় ফুটবল ফেডারেশন। বেশ কিছুদিনের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। কিন্তু দেশটিতে করোনা দাঁত বসাতে না পারায় ছন্দে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রোববার রাজধানী আশখাবাদের স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল অ্যালটিন অ্যাসির ও কোপেটড্যাগ। ম্যাচ দেখতে হাজির হয়েছিলেন প্রায় তিনশো দর্শক। ১-১ ড্র দিয়ে শেষ হয় খেলা।
অবাক হওয়ার আরো কিছু বাকি। দর্শকদের কেউই মুখে মাস্ক পরেননি। তাদের বিশ্বাস, তুর্কমেনিস্তানে করোনা ঢুকতে পারবে না। তাই আগামী দিনেও নির্ভয়ে খেলা দেখার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
এক সমর্থকের কথায়, “ফুটবল ফিরে আসাটাই আনন্দের। এটাই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে। এখানে তো করোনা ভাইরাস আসেইনি। তাহলে কেন নতুন করে সব শুরু করব না?”
গোটা বিশ্বে মারণ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ পেরিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৬৫ হাজারেরও বেশি মানুষের। এমন পরিস্থিতিতে তুর্কমেনিস্তানের এই সিদ্ধান্তকে বেশ সাহসী পদক্ষেপ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সংবাদ প্রতিদিন।