‘ওরা খতম স্যার,’ সোলাইমানি হত্যার পর বার্তা পান ট্রাম্প

0

হরর মুভিকেও হার মানায়। কিংবা এ যেনো কোনো গ্যাংস্টার তার গডফাদারকে নিশ্চিত করছে খুনের এ্যাসাইনমেন্ট শেষ করার পর সাঙ্কেতিক বার্তা দিয়ে।

২ মিনিট ১১ সেকেন্ড, ১ মিনিট, ৩০ সেকেন্ড, ১০, ৯, ৮… হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে বসে থাকা কর্মকর্তাদের অনেকেই তখনও বিস্ফোরণের আওয়াজের জের কাটিয়ে উঠতে পারেননি। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের মনে অন্য ধন্দ।

যাঁকে এত দিন ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে করত বিশ্ব, ইরানের কুদস বাহিনীর সেই কমান্ডার কাসেম সোলায়মানিকে কি সত্যিই ‘নিকেশ’ করা গিয়েছে? কয়েক সেকেণ্ডের মধ্যেই ও পার থেকে ভেসে এল মার্কিন সেনা অফিসারের ভয়ার্ত কন্ঠস্বর, ‘ওরা খতম, স্যার।’ ৩ জানুয়ারি, ২০২০ সাল, শুক্রবার ভোররাতেরও আগে সোলায়মানিকে হত্যার শেষ মুহূর্তের এই বিবরণ শুনিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই।

অবশ্য প্রকাশ্যে নয়। আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারের জন্য অনুদান সংগ্রহ উপলক্ষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল গত ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার। দক্ষিণ ফ্লোরিডার পাম বিচে ট্রাম্পের বিলাসবহুল মার-এ-লাগো ক্লাবে ছিল সে অনুষ্ঠান। তাতে প্রবেশাধিকার ছিল না সংবাদমাধ্যমের। কিন্তু সিএনএন অনুষ্ঠানের একটি অডিয়ো রেকর্ডিং পায়। তাতেই শোনা যায়, সোলায়মানি হত্যার শেষ মুহূর্তের নাটকীয় বর্ণনা দিয়েছেন স্বয়ং ট্রাম্প।

বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তখন নেমেছেন সোলায়মানি। দেখা হয়েছে ইরাকের আধা সামরিক বাহিনীর নেতা কাতাইব হিজবুল্লার প্রধান আবু মাহদি আল মুহান্দিসের সঙ্গে। দু’জনে জানেন না, আকাশ থেকে তাঁদের উপর বাজপাখির নজর রেখে চলেছে মার্কিন সামরিক বাহিনীর ক্যামেরা। তার প্রতি মুহূর্তের বিবরণ পৌঁছাচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে। সামনে খোলা মনিটর। আসছে বার্তা, ‘ওরা দু’জন একসঙ্গেই রয়েছে, স্যার। আর মাত্র ২ মিনিট ১১ সেকেণ্ডের অপেক্ষা। ওরা এখনও ভাবলেশহীন।’ পরের মুহূর্তে আরও একটি বার্তা, ‘ওরা দ’’জনেই সাঁজোয়া গাড়িতে রয়েছে। আর এক মিনিট সময় রয়েছে ওদের কাছে। এর পর কাউন্টডাউন শুরু হয় সেকেন্ডে। ১০, ৯, ৮…। ট্রাম্পের কথায়, ‘হঠাৎই তুমুল জোরে আওয়াজ। তার পরে শুনলাম, দু’জনেই খতম স্যার। আপাতত রাখছি।’ সোলায়মানি হত্যার এই বিবরণে অসঙ্গতি নজরে এসেছে অনেকের। আসলে প্রথমে তাঁকে আমেরিকার জন্য ‘অবশ্যম্ভাবী বিপদ’ বলে এই হত্যার সপক্ষে যুক্তি দিয়েছিল আমেরিকা। কিন্তু অডিওতে ট্রাম্পকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমাদের দেশ নিয়ে যা খুশি তাই বলে যাচ্ছিল লোকটা। এত নোংরা কথা কত শোনা যায়?’ এখন তাই প্রশ্ন, তবে কি সে কারণেই সোলায়মানি হত্যা অভিযানে সম্মতি?

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com