ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে সরকার বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় পরিকল্পিতভাবে। আসুন আমরা হতাশ না হয়ে বিভক্তি ও বিভাজনের চিন্তা করব না। আমরা শহীদ জিয়ার রাজনীতিকে অনুসরণ করে বিএনপিকে আরো শক্তিশালী সংগঠনে পরিণত করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করব। ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জেবিত হয়ে দানব সরকারকে সরাতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহনের ৮৪তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ক্যালেন্ডার-২০২০ উম্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অস্তিত্ব মিশে আছে। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বসে থাকেননি। অ¯্র হাতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন।
তাছাড়াও তিনি বাংলাদেশের নতুন পরিচয় দিয়েছিলেন। তিনি তার ১৯ দফার দর্শনে বাংলাদেশের সবকিছু তুলে ধরেছেন। যারা স্বাধীনতার নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে দাবি করে তারা সেদিন দেশের গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিল। আওয়ামী লীগ ৪টি পত্রিকা রেখে বাকী গুলো বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রর্বতন করেছেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন তিনি। আজকের উন্নত কৃষি তথা উচ্চ ফলনশীল ধান চাষের ব্যবস্থা তিনিই করেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে তৎকালীন সরকার দুর্নীতি করে অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। আর জিয়াউর রহমান তলাবিহীন ঝুড়িকে স্বয়ং সম্পূর্ন করে রেখে গেছেন। আবদ্ধ করে রেখেছিল। শহীদ জিয়া সেসব মুক্ত করে দেশের মানুষকে নতুন পথ দেখিয়ে গেছেন। সে পথেই আজকে বাংলাদেশ এগোচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ছিলেন সফল। তার নেতৃত্বে জাপানকে পরাজিত করে বাংলাদেশ জাতিসংহের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হয়েছিল। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তার অসমাপ্ত কাজ ও স্বপ্ন পূরণের জন্য দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আজকে বিএনপি বেগম খালেদা জিয়া সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় কারাগারে। যারা গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকারে বিশ্বাস করে না, তারা আজকে বেগম খালেদা জিয়াকে কারা অন্তরীণ করে রেখেছে। আর এটা করেছে একটি কারণে, তারা বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়।
উম্মোচন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-প্রচার বিষয়ক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলীম, কৃষিবিদ অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ.বি.আব্দুস সাত্তার, বগুড়া গাবতলীর পৌর সভার মেয়র সাইফুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খানসহ গাবতলী বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কেলেন্ডার ২০২০ বিতরণ উদ্বোধন করে হাতে তুলে দেন গাবতলী পৌর সভা বিএনপি’র সভাপতি ডাক্তার সাবেদ আলীর হাতে।