বরগুনায় ভয়াবহ আগুনে ২১০ দোকান পুড়ে ছাই
বরগুনা পৌর সুপার মার্কেটের পেছনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গার্মেন্ট, কসমেটিকসের দোকান, সেলুন ও আবাসিক হোটেলসহ প্রায় ২১০ দোকান পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুতের শর্টসার্কিটের কারণে এই আগুনের সূত্রপাত। তা ছাড়া বরগুনার ফায়ার সার্ভিসের দুর্বলতার কারণেও এতগুলো দোকান পুড়েছে। পরে দুই ঘণ্টা ধরে চেষ্টা চালিয়ে বরগুনার বেতাগী, আমতলী ও পাথরঘাটার ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে বরগুনা পৌর মার্কেটের পেছনের একটি দোকানে আগুন লাগে। নিমিশেই আশপাশের দোকানে আগুন লেগে যায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে আমতলী, বেতাগী ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট এসে দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। তবে আগুনের তীব্রতার কারণে আমাদের একার পক্ষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। পরে আমতলী, বেতাগী ও মির্জাগঞ্জ থেকে কয়েকটি ইউনিট আসে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের বিষয়ে যে অভিযোগ রয়েছে এসব ভিত্তিহীন, আগুন নেভানোর জন্য আমরা শতভাগ কাজ করেছি। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে— ইলেকট্রিক শর্টসার্কিটের কারণে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
বরগুনা পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান মহারাজ বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা শুনে আমি দ্রুত ছুটে আসি। ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি টিম, রেডক্রিসেন্ট কর্মীসহ স্থানীয় লোকজনের প্রচেষ্টায় প্রায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২১০ দোকান পুড়ে গেছে।